নিজস্ব প্রতিবেদক: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডরে (এসআইবিএল) পরিচালনায় পরিবর্তনের পর নগদ আদায় হয়েছে ৭৯৪ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তঃব্যাংক থেকে ৯০০ কোটি টাকার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তারা।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার হচ্ছে। সাময়িক আস্থাহীনতা তৈরি হলেও আগামী দুই মাসের মধ্যে ব্যাংকটি ভালো অবস্থানে ফিরে যাবে বলে আশা করছে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলা হয়।
এস আলমকে সরিয়ে গত ২৫ আগস্ট পাঁচ সদস্যের পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন পর্ষদ মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, পরিচালক মাকসুদা বেগম, মো. মোরশেদ আলম খন্দকার ও মো. আনোয়ার হোসেন। কেবল উদ্যোক্তা পরিচালক ও সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ডা. রেজাউল হককে দেখা যায়নি। এমডির চলতি দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ ফোরকানউল্লাহ, ডিএমডি আব্দুল হান্নান খান, এসইভিপি নাজমুস সায়াদাত, সিএফও মোহাম্মদ শোয়েব ও হেড অব ব্র্যান্ডিং সামিয়া তাহসিনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৭ সালে এসআলম এই ব্যাংক দখলের পর দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, নামে-বেনামে এস আলম গ্রুপের ঋণ রয়েছে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য ব্যাংকে প্লেসমেন্ট হিসেবে আছে ৪৭০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে তাদের কিছু ব্যবসা আছে, কিছু জামানত আছে। আর ২৫০ কোটি টাকার আমানত রয়েছে। ব্যাংকটির শেয়ারের ৪৭ শতাংশ রয়েছে এস আলমের। কে কী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তা বের করতে দ্রুত একটি অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া হবে। এখানে নিয়োগে অনেক ধরনের অনিয়ম হয়েছে। এছাড়া উচ্চ পরিচালন ব্যয় কমাতে যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নেওয়া হবে। এই ব্যাংকের প্রত্যেকের আমানতের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
মোহাম্মদ ফোরকানউল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি খোলাসহ যেসব বিধিনিষেধ দিয়েছিল তা প্রত্যাহার হচ্ছে। দ্রুত ব্যাংকটিকে আগের অবস্থায় নিতে এখন আদায়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স আহরণ, সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়া ডেসকো, ডিপিডিসি, ওয়সাসহ ১৮টি সংস্থার বিল নেওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০০ কোটি টাকার নগদ পরিশোধ করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ে সব ধরনের অনলাইন লেনদেন, কার্ডভিত্তিক লেনদেন চালু হবে।
Leave a Reply