1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
আস্থার সংকটে পুঁজিবাজার: ৫ বছরে ছেড়েছে ৭ লাখ বিনিয়োগকারী - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

আস্থার সংকটে পুঁজিবাজার: ৫ বছরে ছেড়েছে ৭ লাখ বিনিয়োগকারী

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আস্থার সংকটে থাকা দেশের পুঁজিবাজারে চলছে ধারাবাহিক দরপতন। পুঁজি হারাচ্ছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। গত ৫ বছরে ‘আস্থার সংকটে’ পুঁজিবাজার ছেড়েছেন প্রায় ৭ লাখ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাবধারী।

সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, মুদ্রা বিনিময় হারে অস্থিতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবে দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া সুদহার বৃদ্ধি ও আস্থার সংকটের কারণেও বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।

এদিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও শেয়ারে বিনিয়োগের জন্য যেসব বিও খোলা হয়েছিল প্রো-রাটা পদ্ধতি চালুর পর সেসব বিওধারী বাজার ছেড়েছেন। তাদের মতে, এ মুহূর্তে পুঁজিবাজারে নীতিগত স্থিতিশীলতা ও আস্থা পুনরুদ্ধার না হলে সংকট আরও দীর্ঘ হবে। এতে আরও বিনিয়োগকারী হারানোর শঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

আইপিও-এর পূর্ণরূপ ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব। লিমিটেড কোম্পানিগুলো মূলধন সংগ্রহের জন্য প্রাইমারি মার্কেটে শেয়ার অফার করলে সর্বসাধারণ ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার ক্রয়ের জন্য আবেদন করেন। এ প্রক্রিয়াই মূলত আইপিও।

আইপিওর ক্ষেত্রে এক সময় লটারি পদ্ধতি ছিল। এতে লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হতো। ২০২১ সালে এই পদ্ধতি তুলে দিয়ে আনুপাতিকহারে শেয়ার বরাদ্দ দেওয়ার পদ্ধতি চালু হয়। এই পদ্ধতি প্রো-রাটা বলে পরিচিত।

এই পদ্ধতিতে আইপিও আবেদনের আগে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর বাজারমূল্যে ন্যূনতম ৫০ হাজার টাকা তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে তথা সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ থাকতে হবে। অর্থাৎ আইপিও আবেদন করার আগে একজন বিনিয়োগকারীর সেকেন্ডারি বাজারে ৫০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। আর অনাবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিনিয়োগ থাকতে হবে ১ লাখ টাকা।

বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি, এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর পুঁজিবাজার থেকে অনেক বিও হিসাবধারী চলে গেছেন।

সিডিবিএল সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশি-বিদেশি (অনাবাসী) বিনিয়োগকারীসহ মোট বিও হিসাব ছিল ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০টি। এর মধ্যে দেশি বিও হিসাব ছিল ২২ লাখ ১১ হাজার ২৫৭টি। আর অনাবাসী (নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি) বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৩টি। প্রায় ৪ বছর ১১ মাসের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ২৩ নভেম্বর বিও কমে দাঁড়ায় ১৬ লাখ ৭৯ হাজার ১২৮টিতে। এই সময়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমে হয়েছে ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৯টি।

অর্থাৎ দেশি বিও হিসাব কমেছে ৫ লাখ ৯৬ হাজার ৪১৮টি। আর অনাবাসীদের বিও কমে হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৬১টি। অর্থাৎ তাদের বিও কমেছে ১ লাখ ১ হাজার ৭৩২টি।

ডিএসইর তথ্যমতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত বিদেশিরা ৯ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন। একই সময়ে বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার ৭১ কোটি টাকার শেয়ার। অর্থাৎ এ সময়ে তারা মুনাফা তুলেছেন ৭ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা।

বিপুল পরিমাণ মুনাফা করার পরও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজার ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ হিসেবে আস্থার সংকটকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ার বড় কারণ আস্থার সংকট। সুদহার বাড়ায় দেশি বিনিয়োগকারীদের বড় অংশও বাজার ছেড়েছেন।

এদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে আতঙ্কিত হয়ে দেশি বিনিয়োগকারীদের একাংশও শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে ২০২৩-২৪ সালের বেশির ভাগ সময় পুঁজিবাজারে দরপতন ঘটেছে। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন কমেছে ১ লাখ ৪ হাজার ২৯১ কোটি টাকা।

ব্র্যাক ইপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসানুর রহমান বলেন, গত আগস্ট মাসের পর থেকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট পজিটিভ। এর আগে বিনিয়োগ কমার অনেক কারণ ছিল। তার মধ্যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থা, এক্সচেঞ্জ রেট, ফ্লোর প্রাইস আরোপ অন্যতম কারণ। অনাবাসী বিনিয়োগকারীরা এক সময় আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) শেয়ার কেনার জন্য অনেক বিও মেইনটেইন করতেন। যখন থেকে আইপিওতে আবেদনের জন্য ৫০ হাজার টাকা থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়, তখন থেকে এই হিসাবগুলো কমতে শুরু করেছে।

বিআরবি সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, আইপিও শিকারি বিও হিসাবগুলো নতুন নিয়মের কারণে এক সময় নিষ্ক্রীয় হয়ে যায়। ক্রমান্বয়ে তারা পুঁজিবাজার ছেড়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com