1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
ফেসভ্যালুর নিচে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

ফেসভ্যালুর নিচে ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৫৩টি কোম্পানির শেয়ার এখন ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের কমে লেনদেন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬টি ব্যাংকের শেয়ারদর ফেসভ্যালুর নিচে অবস্থান করছে। ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসের পরও এ অবস্থা তৈরি হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা চলছে দেশের শেয়ারবাজারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও অস্থিরতা কাটেনি। বাজারে এক দিন উত্থান হলে দুই দিন পতন হয়। এ ছাড়া এতগুলো কোম্পানির শেয়ারদর ফেসভ্যালুর নিচে থাকার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আবার মিউচুয়াল ফান্ডকে হিসাবে ধরলে এ সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।

ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, শুধু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর ৫৩টির শেয়ারের দাম এখন ১০ টাকার নিচে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের ১৬টি, বস্ত্র খাতের ১৪টি, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ১৩টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের তিনটি, বিবিধ খাতের একটি, প্রকৌশল খাতের পাঁচটি এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের একটি কোম্পানি।

বিগত সরকারের আমলে দেশের পুঁজিবাজারে ব্যাপক লুটপাট চালানো হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে নানা সংস্কারে হাত দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপরও পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষ আস্থা পাচ্ছে না। এতে ক্রমাগতভাবে দরপতনের ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

ব্যাংক খাতের যে ১৬টি কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে অভিহিত মূল্যের নিচে লেনদেন হচ্ছে। সেগুলো হলো-এবি ব্যাংকের ৭ টাকা ৪০ পয়সা, এক্সিম ব্যাংকের ৬ টাকা ৭০ পয়সা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৪ টাকা ৮০ পয়সা, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৪ টাকা, আইসিবি ৩ টাকা, আইএফআইসি ৬ টাকা ৭০ পয়সা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৪ টাকা ৬০ পয়সা, এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ টাকা ৫০ পয়সা, ওয়ান ব্যাংকের ৮ টাকা ৯০ পয়সা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ৮ টাকা ৯০ পয়সা, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ৯ টাকা, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৯ টাকা ৩০ পয়সা, সাউথইস্ট ব্যাংকের ৮ টাকা ৭০ পয়সা, স্টান্ডার্ড ব্যাংকের ৬ টাকা, ইউসিবির ৯ টাকা ২০ পয়সা এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের ৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। এর বাইরে ১০ থেকে ১১ টাকার মধ্যে রয়েছে আরও দুটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম। সে হিসাবে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ১৮টিরই দাম এখন অভিহিত মূল্যের নিচে বা কাছাকাছি।

বস্ত্র খাতের কোম্পানির মধ্যে যে ১৪টির দাম অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে এসেছে। সেগুলো হলো-আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ৭ টাকা ৫০ পয়সা, সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ৪ টাকা ৪০ পয়সা, ডেল্টা স্পিনিংয়ের ৭ টাকা ১০ পয়সা, ফেমিলি টেক্সটাইলের ২ টাকা ৮০ পয়সা, জেনারেশন নেক্সটের ৩ টাকা ৩০ পয়সা, ম্যাকসন স্পিনিংয়ের ৭ টাকা ১০ পয়সা, নূরানী ডাইংয়ের ৪ টাকা ২০ পয়সা, প্যাসিফিক ডেনিমসের ৭ টাকা ৭০ পয়সা, রিজেন্ট টেক্সটাইলসের ৪ টাকা ৩০ পয়সা, রিং শাইনের ৪ টাকা ১০ পয়সা, তাল্লু স্পিনিংয়ের ৬ টাকা ৪০ পয়সা, তুং হাই নিটিংয়ের ৩ টাকা ১০ পয়সা, ভিএফএস থ্রেডের ৮ টাকা ৬০ পয়সা এবং জাহিন স্পিনিংয়ের ৮ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

এ ছাড়া ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফেসভ্যালুর নিচে রয়েছে ১৩টির শেয়ারদর। এগুলোর মধ্যে বে-লিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের শেয়ার ৬ টাকা ১০ পয়সা, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিডাল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) ৭ টাকা ৯০ পয়সা, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৩ টাকা ২০ পয়সা, ফাস ফাইন্যান্সের ৩ টাকা ৭০ পয়সা, ফার্স্ট ফাইন্যান্সের ৩ টাকা ৫০ পয়সা, জিএসপি ফাইন্যান্সের ৬ টাকা ২০ পয়সা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৩ টাকা ৭০ পয়সা, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৮ টাকা ২০ পয়সা, ফিনিক্স ফাইন্যান্সের ৪ টাকা ৩০ পয়সা, পিপলস লিজিংয়ের ২ টাকা ৫০ পয়সা, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ৩ টাকা ৫০ পয়সা, প্রাইম ফাইন্যান্সের ৪ টাকা ৭০ পয়সা এবং ইউনিয়ন ক্যাপিটালের শেয়ার ৬ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে।

প্রকৌশল খাতের পাঁচটির মধ্যে অ্যাপেলো ইস্পাতের শেয়ার ৪ টাকা ২০ পয়সা, অলিম্পিক এক্সেসরিজের ৯ টাকা ১০ পয়সা, রতনপুর স্টিলের ৯ টাকা ৯০ পয়সা, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ টাকা ৯০ পয়সা এবং এসএস স্টিলের শেয়ার ৮ টাকা ৭০ পয়সায় অবস্থান করছে। এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জিবিবি পাওয়ার অবস্থান করছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়। ওষুধ খাতের অ্যাক্টিভ ফার্মার শেয়ার ৯ টাকা, এএফসি এগ্রোর ৯ টাকা ৯০ পয়সা এবং কেয়া কসমেটিকসের শেয়ার ৫ টাকা ২০ পয়সায় লেনদেন হচ্ছে। আর বিবিধ খাতের ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর ৮ টাকা ৮০ পয়সায় অবস্থান করছে।

বিএসইসি’র মাধ্যমে গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ ও ‘পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপ’ পুঁজিবাজারের সুশাসন উন্নত করা, অভ্যন্তরীণ সুশাসন শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক মানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বেচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ সর্বোপরি দেশের পুঁজিবাজারের টেকসই সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি-সংশ্লিষ্টরা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com