1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
পহেলা বৈশাখ ঘিরে ‘চড়া’ ইলিশের দাম - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

পহেলা বৈশাখ ঘিরে ‘চড়া’ ইলিশের দাম

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পহেলা বৈশাখ ঘিরে ‘চড়া’ ইলিশের দাম। সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাংলা নববর্ষ। যে কারণে এখন রাজধানীর বাজারে ইলিশ মাছের দাম বেশ ‘চড়া’। বিশেষ করে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ একদমই কম। দাম আকাশচুম্বী।

বৈশাখের আগের দিন রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।

ক্রেতাদের অভিযোগ, বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশের প্রধান অনুষঙ্গ ইলিশের এ ‘নগরকেন্দ্রিক’ চাহিদা পুঁজি করে ফায়দা লুটছেন পাইকারি ও খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বৈশাখী উৎসব ঘিরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বাজারগুলোয় ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে জাটকা ধরা নিষেধাজ্ঞায়, অনেক নদীর মোহনায় ইলিশ ধরা বন্ধ, ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এতে খুচরা ও পাইকারি— দুই বাজারেই ইলিশের দাম বেড়েছে।

মালিবাগ, রামপুরা ও মধ্যবাড্ডার বাজার ঘুরে এদিন ইলিশের যে খুচরা দাম পাওয়া গেছে সেটা হলো- ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের দাম ২০০০ থেকে ২৪০০ টাকা, ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের কেজি ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে, ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা আর চার-পাঁচটা মাছ মিলে এক কেজি অর্থাৎ ২০০-২৫০ গ্রামের কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বলেন, এখন জাটকা ধরা বন্ধ, যে কারণে অনেক স্থানে মাছ ধরা বন্ধ। আবার বৈশাখের পরের দিন থেকে মাছ আর পাওয়া যাবে না। যে কারণে মাছের বাজারে একটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে, যেখানে বৈশাখের মধ্যে চাহিদা বেড়েছে।

বর্তমানে জাটকা ধরা বন্ধ। যে কারণে দেশের বিভিন্ন অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এছাড়া আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন ইলিশ ধরা ও বাজারজাত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে বিশেষ করে চট্টগ্রামের মাছ বেশি এসেছে বাজারে।

এদিকে খুচরা বাজারের পাশাপাশি পাইকারি বাজারেও ইলিশের দাম বেড়েছে। ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী ও মেরুল বাড্ডার পাইকারি আড়তে সরবরাহ সংকটে ইলিশের মণ ছুঁয়েছে লাখ টাকা। ছোট আকারের ইলিশের মণও ছাড়িয়েছে অর্ধ লাখ টাকা।

ইলিশ বিক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, গত রাতে প্রতি কেজি মাছের দাম আগের দিনের চেয়ে ২০০ টাকা বেড়েছে। এমনকি বরিশাল ও চট্টগ্রামের যেসব মোকাম থেকে ইলিশ আসছে, সেখানেও বেশি।

বাড্ডার বাজারে ৭০০ গ্রাম সাইজের ইলিশের হালি ১০ হাজার টাকা হাঁকছিলেন বিক্রেতা জামাল হোসেন। তার কাছে জানতে চাইলে বলেন, এক সপ্তাহ আগে এসব মাছ ২০০০ টাকার নিচে ছিল প্রতি পিস। অর্থাৎ হালিতে ২০০০ টাকার বেশি বেড়েছে।

এদিকে বাজারে বড় মাছের সরবরাহ একেবারেই কম। এক কেজি সাইজের ইলিশ পাইকারিতে ৩২০০ থেকে ৩৫০০ টাকা। কিনে এনে কী দামে বেচবো? যদি বিক্রি না হয় তাহলে কী হবে? বৈশাখের পরে ইলিশ বেচা নিষিদ্ধ।

এদিকে চড়া মাছের দাম ও ঈদের পরপরই বৈশাখ বলে এবার ইলিশের কাটতি কম বলে জানিয়ে পাইকারি মাছ বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদের পরে মানুষের হাতে টাকা নেই। যে কারণে বিক্রি ভালো নয়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com