নিজস্ব প্রতিবেদক: তারল্য সংকটে থাকা ৯ ব্যাংক এসএলআর (বিধিবদ্ধ তরল স্থিতি) সংরক্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহকদের চাহিদা মতো টাকা দিতেও পারছে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসএলআর না রাখতে পারা তারল্য সংকটের স্পষ্ট প্রতিফলন। দীর্ঘমেয়াদে এই সমস্যা চলতে থাকলে ব্যাংকিং কার্যক্রম হুমকিতে পড়বে।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোকে ১৩ শতাংশ এসএলআর সংরক্ষণ করতে হয়। এছাড়া ইসলামি ধারার ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৫ শতাংশ এসএলআর সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলো এসএলআরের অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ডে বিনিয়োগ করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, নিয়ম ভাঙার কোনো ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নিয়মের ব্যত্যয় হলে জরিমানা দিতেই হবে।
ব্যাংকগুলো এসএলআর সংরক্ষণে ব্যর্থ হওয়ার কারণ হিসেবে তারল্য সংকট, গ্রাহক আমানত কমে যাওয়া ও আগের অনিয়মকে দায়ী করেছে। এসব ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা বলছেন, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা চলছে এবং সমস্যার সমাধানে সময় প্রয়োজন।
জানা গেছে, এসএলআর সংরক্ষণে ব্যর্থতার কারণে কিছু ব্যাংক জরিমানাও ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেওয়ার পর এসব ব্যাংকে সরাসরি তারল্য সহায়তা বন্ধ করে দেন। যদিও পরে আন্তঃব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে কিছুটা সহায়তা দেওয়া হয়।
Leave a Reply