1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
ইসলামী ব্যাংকের ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুলসহ আসামি ৩০ - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

ইসলামী ব্যাংকের ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুলসহ আসামি ৩০

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিং অপরাধে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার আমিনুল ইসলাম ও এস আলম গ্রুপের মালিক সাইফুলসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩০ জুলাই) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে, নাবিল গ্রুপের আসামিরা হলেন- নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যানের আত্নীয় ও মার্কেট মাস্টার অ্যানালাইজারের চেয়ারম্যান মো. শরিফুল ইসলাম, এমডি মো. শাহ আলম, নাবিল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান শিমুল এন্টার প্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম ও নাবিল ট্রেডিংয়ের মালিক ইসরাত জাহান।

এছাড়াও এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের স্ত্রী ফারজানা ও ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া এস আলম, ইসলামী ব্যাংক ও নাবিল গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদেরও আসামি করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মওলাসহ প্রতিষ্ঠানটির আরও যাদের আসামি করা হয়েছেন তারা হলেন- ব্যাংকটির ইভিপি মো. মোজাহিদুল ইসলাম, এভিপি মোহাম্মদ কাইয়ুম শিকদার, মো. কামরুজ্জামান, মো. জহিরুল হক, এফএভিপি মো. আব্দুল কাইয়ুম, মো. আলমগীর হোসেন, ডিএমডি মাহমুদুর রহমান, সাবেক এসভিপি মো. নাজমুল হূদা সিরাজী, ভিপি মো. মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ শাব্বির ও মোহাম্মদ উল্লাহ।

এ ছাড়া, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মো. সেলিম উদ্দিন, সৈয়দ আবু আসাদ (প্রতিনিধি এক্সিলেসর ইমপেক্স কোম্পানি লি.), ড. তানভীর আহম্মদ (প্রতিনিধি প্যারাডাইস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড), মো. কামরুল হাসান (প্রতিনিধি গ্র্যান্ড বিজনেস লিমিটেড), প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালেহ জহর (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের শিক্ষক), প্রফেসর ড. মো. ফসিউল আলম ও জেকিউএম হাবিবুল্লাহ।

এস আলমের যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন- এস আলম ভেজিটেবল ওয়েলের এমডি মো. শহিদুল ইসলাম, মিশকাত আহমেদ। আলম সুপার এডিবল ওয়েলের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌস ও এস আলমের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মাসুদের স্ত্রী ফারজানা পারভীনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে কোনোরূপ পণ্য ক্রয়-বিক্রয় না করে মোট ৯৫০ কোটি টাকার ভুয়া ডিল সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সৃজন করেন। আসামিরা তা ব্যবহার করেন, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অপরাধমূলক অসদাচরণসহ নানাবিধ ব্যাংকিং অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বাই-মুরাবাহা টিআর বিনিয়োগ প্রস্তাবনা, সুপারিশ, অনুমোদন, বিতরণ ও উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

এস আলম ও নাবিল গ্রুপ সংশ্লিষ্টদের সাপ্লায়ার ও বেনফিশিয়ারি হিসেবে দেখিয়ে ভুয়া ঋণপত্র তৈরি করা হয় বলে এজাহারে বলা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (১৮৬০) এর ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) এবং ৪(৪) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com