নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ব্যাংক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্যাংকিং খাতে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯১টি, যেখানে আগের অর্থবছরে ছিল ১২ হাজার ৮০৯টি। বৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ। একই সময়ে প্রবাসী আয় পাঠানোর ক্ষেত্রে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৯০০টি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বিএফআইইউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিএফআইইউ-এর পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট সন্দেহজনক লেনদেন ২৩ শতাংশ বেড়েছে। এ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫টি, যা আগের বছরে ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি।
মুহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, বিএফআইইউ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করেছে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে এক হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে, যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় ১৩.৯১ শতাংশ বেশি। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।
বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউ-এর উপ-প্রধান মো. কাওছার মতিন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
Leave a Reply