নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল) ব্যবসা পরিচালনা করা বা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
ব্যাংকটির সর্বশেষ ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাবে নিরীক্ষায় এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
সোশ্যাল ইসলামি ব্যাংকের আর্থিক হিসাবে মূলধন ঝুঁকি জনিত সম্পদের অনুপাত (সিআরএআর) ৬.৪৩ শতাংশ দেখানো হয়েছে। তবে প্রভিশনিং ঘাটতি বিবেচনায় এই অনুপাত ঋণাত্মক ৩৩.৯৫ শতাংশ। এরফলে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি ২ হাজার ২৮৫ কোটি ১ লাখ টাকা।
জানা যায়, ব্যাংকটি দীর্ঘ সময় ধরে সিআরআর এবং এসএলআর পূরণ করে চলতে পারছে না বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কারন ব্যাংকটির ৬০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ বা প্রদত্ত ঋণ নন-পারফরমিং হয়ে গেছে। এছাড়া গ্রাহকদের ১৬.৬৪ শতাংশ ডিপোজিট কমেছে ও প্লেসমেন্ট দায় বেড়েছে ৯ হাজার ৮৫ কোটি টাকা।
চলমান এই দুরাবস্থার কারনে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ভবিষ্যতে ব্যবসা চালানোর সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।
নিরীক্ষক জানিয়েছে, এ ব্যাংকটির বিনিয়োগের বিপরীতে ২ হাজার ৩১৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা প্রভিশন বা সঞ্চিতি দরকার। কিন্তু তারা করেছে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এতে করে ব্যাংকটির ২০২৪ সালের আর্থিক হিসাবে ৮১৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার সঞ্চিতি ঘাটতি রয়েছে।
তবে ওই ঘাটতি সঞ্চিতির অংশ ২০২৪ সালে যদি গঠন করা হতো, তাহলে ব্যাংকটির ওই বছরে ৯১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৮.০২ টাকা লোকসান হতো। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোকসান দেখিয়েছে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি লোকসান দেখিয়েছে ০.৮৯ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ১৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৮৮.৩৮ শতাংশ। কোম্পানিটির রবিবার (০৬ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮.১০ টাকায়।
Leave a Reply