1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বন্ধের পথে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের পাওনা ১২ হাজার কোটি - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বন্ধের পথে ২০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের পাওনা ১২ হাজার কোটি

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) এতটাই খারাপ অবস্থায় রয়েছে যে, তাদের দেউলিয়া ঘোষণা করা বা বন্ধ ঘোষণা করে দিতে হতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে সরকারকে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মঞ্জুর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, অর্থ খাতের স্থিতিশীলতা ফেরাতে সরকারের ৩০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে। এর মধ্যে শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্যই দরকার ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এসব এনবিএফআই’র গড় খেলাপি ঋণের হার ৮৩ শতাংশের বেশি। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আমানতের চেয়ে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি।

২০টি সমস্যাগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের মোট খেলাপি ঋণ প্রায় ২১ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। অথচ জামানত আছে মাত্র ৬ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার মতো। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকা ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

যেসব প্রতিষ্ঠান দেউলিয়ার তালিকায় রয়েছে—সিভিসি ফাইন্যান্স, বে লিজিং, ইসলামিক ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং, প্রাইম ফাইন্যান্স, উত্তরা ফাইন্যান্স, অ্যাভিভা ফাইন্যান্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, ফার্স্ট ফাইন্যান্স, পিপলস লিজিং, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স, আইআইডিএফসি, হজ ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, মেরিডিয়ান ফাইন্যান্স, বিআইএফসি, ফিনিক্স ফাইন্যান্স ও ফাস ফাইন্যান্স।

জানা যায়, আগে এনবিএফআইগুলোতে রাখা টাকায় কোনো সরকারি গ্যারান্টি ছিল না। তবে এবার সংশোধিত আইনে এসব প্রতিষ্ঠানে রাখা আমানতের ওপর ২ লাখ টাকা পর্যন্ত সরকারের ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, ২০টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না দেয়, তাহলে লাইসেন্স বাতিল করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে পাঁচটি বড় ইসলামী ব্যাংকও সংকটে রয়েছে। এই ব্যাংকগুলো একীভূত করে একটি নতুন ব্যাংক গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর জন্য সরকারকে আরও ১৫ থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা দিতে হতে পারে।

গভর্নর বলেন, সরকার প্রয়োজনে বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে এই অর্থ দেবে। পরে ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে বিক্রি করে সে টাকা ফেরত আনা হবে।

অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আহসান হাবিব মনে করেন, এই পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, দুর্বল তদারকি আর রাজনৈতিক প্রভাব দায়ী। এখন শুধু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেই হবে না, গোটা ব্যবস্থার সংস্কার দরকার।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com