1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
ডবল ডিজিটে সরকারি বিল বন্ডের সুদহার: প্রতিবেদন - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

ডবল ডিজিটে সরকারি বিল বন্ডের সুদহার: প্রতিবেদন

  • সর্বশেষ আপডেট : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি খাতে ঋণ নেওয়ার সব ধরনের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার এখন ডবল ডিজিটের ওপরে রয়েছে। এসব বিল ও বন্ডের সুদের হার সর্বনিম্ম ১০ দশমিক ৩৮ থেকে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

সঞ্চয়পত্রের সুদের হার আরও বেশি। সরকার চড়া সুদে ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, করপোরেট কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে বিল-বন্ড বিক্রি করে ঋণ নেওয়ায় বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা কম সুদে ঋণ পাচ্ছে না। একই কারণে ঋণের সুদের হারও কমছে না। ফলে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত মধ্য মার্চ পর্যন্ত সব ধরনের ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার ১০ শতাংশের উপরে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি রেট এখন ১০ শতাংশ। সরকার বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ড ব্যাংক, ফাইন্যান্স কোম্পানি, করপোরেট কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করে সেগুলো থেকে ঋণ নেয়। বর্তমানে তিন মাস মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদহার ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ছয় মাস মেয়াদি বিলের সুদহার ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ, ১ বছর মেয়াদি বিলের সুদহার ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

সরকারের ঋণ গ্রহণের ৫ ধরনের বন্ড রয়েছে। এর মধ্যে ২ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হার ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ৫ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ। ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। ১৫ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ১০ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ২০ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদহার ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

চড়া সুদের কারণে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগকেই লাভজনক মনে করছে। এতে কোনো ঝুঁকি নেই। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ করলে সুদের হার আরও বেশি। সেখানে ১২ থেকে ১৬ শতাংশ সুদ আরোপ করা হয়। কিন্তু এতে ঝুঁকির মাত্রা বেশি। যে কারণে ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলো বেসরকারি খাতে ঋণ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এছাড়া বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারাও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঋণ নিতে আগ্রহী হচ্ছে না। এসব কারণে বেসরকারি খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে গেছে। গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারিতে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়েছিল প্রায় ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বেড়েছে ২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপ্রবাহ বাড়ার হার অর্ধেক কমে গেছে। এতে বেসরকারি খাতের উৎপাদনে যেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তেমনি কর্মসংস্থানের হারও কমে গেছে।

২০২২ সালে বিশ্ব মন্দার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে গেলে বাংলাদেশে এ হার বেড়ে যায়। গত জুলাইয়ে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে ওঠে। মূল্যস্ফীতির হার কমায় ২০২২ সাল থেকেই সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মাধ্যমে সুদের হার বাড়ানোর নীতি গ্রহণ করা হয়।

ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী সুদের হারসহ বাড়ানো হয় সব ধরনের সুদ। এতে সরকারি বিল ও বন্ডের সুদের হারও বাড়ে।

মন্দার আগে ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার ৪ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে সীমিত ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন, মূল্যস্ফীতি আরও কিছুটা কমলে ঋণের সুদহার কমানো শুরু হবে। ধীরে ধীরে কমানো হবে সুদহার।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com