1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
অনিয়ম থেমে নেই আছিয়া ফুডসের - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

অনিয়ম থেমে নেই আছিয়া ফুডসের

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইস্যু ম্যানেজার প্রতিষ্ঠান এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সহযোগিতায় প্রসপেক্টাসে বিভিন্ন বিষয়ে ভুল তথ্যসহ অস্বাভাবিক ভবন নির্মাণ ব্যয় দেখিয়ে শেয়ারবাজারে সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১৫ কোটি টাকা উত্তোলন করে আছিয়া সী ফুডস। যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজারে আসার পরেও অনিয়ম থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তারা প্রতিবছরই বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। যা নিরীক্ষকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসছে।

আগের অর্থবছরের ন্যায় সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবেও নিরীক্ষক আছিয়া সী ফুডসে বিভিন্ন অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, আয়কর আইনের এসআরও ১৬১ ও মূশক আইনের এসআরও ২৪০ অনুযায়ি, ভেন্ডরকে বিল প্রদানের সময় উৎসে ভ্যাট ও ট্যাক্স কাটতে হয়। কিন্তু আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ ভেন্ডরকে বিল দেওয়ার অধিকাংশ সময় ভ্যাট ও ট্যাক্স হিসাব করেনি।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, তারা স্বশরীরে মজুদ পণ্যের সংখ্যা যাচাই করেছে। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সাপোর্টিং ডকুমেন্টস ও তথ্যের ঘাটতির অভাবে মজুদ পণ্যের আর্থিক মূল্যের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ফলে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে দেখানো মজুদ পণ্যের মূল্যের বিষয়টি অযাচাইকৃত রয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সালের ২৭ ধারা অনুযায়ি, যখন কোন স্থায়ী কর্মী চাকরী ছেড়ে দেয়, তখন তাকে তার কর্মকালীন প্রতি বছরের জন্য ১৪ বা ৩০ দিনের করে মজুরি প্রদান করতে হয়। কিন্তু আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ এই আইন মানে না।

এছাড়া শ্রম আইনের ২৩৪ ধারা অনুযায়ী, প্রতি বছরের মুনাফার ৫ শতাংশ ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন ফান্ড (ডব্লিউপিপিএফ) গঠন করা দরকার। এটাও পরিপালন করে না আছিয়া সী ফুডস কর্তৃপক্ষ। এই কোম্পানিটিতে কোন ইন্টারনাল অডিট বিভাগ খুঁজে পায়নি নিরীক্ষক। যে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ভাড়া প্রদানের জন্য আইএফআরএস-১৬ অনুযায়ি লীজ হিসাব করেনি। এমনকি ওয়েস্টেজ ও অন্যান্য বিক্রি হিসাবকে তারা মাসিক ভ্যাট রিটার্নে প্রকাশ ও রিপোর্ট করেনি। এছাড়া নগদ প্রবাহ হিসাবে ঋণ আদান/প্রদানের তথ্যে সুদজনিত ব্যয়কে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এর মাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে নগদ প্রবাহ হিসাব দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আছিয়া ফুডসের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা বাকি ৬৯.৩১ শতাংশ। শনিবার (১৯ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৪৩.৫০ টাকায়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com