1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
রাজনৈতিক বিবেচনায় আর নতুন ব্যাংকের অনুমতি নয়: গভর্নর - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

রাজনৈতিক বিবেচনায় আর নতুন ব্যাংকের অনুমতি নয়: গভর্নর

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুর।

তিনি বলেছেন, ‘অতীতে তা (রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক) করতে গিয়ে ব্যাংক খাতকে ধ্বংস করা হয়েছে। ভাই, বোন, স্ত্রী ও নেতাদের ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার সংস্কৃতি আর চালু হতে দেওয়া যাবে না।’

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার বিকালে বাংলাদেশ কনস্যুলেট আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ ছাড়াও দেশ চলতে পারবে। তাদেরর সঙ্গে আমাদের মতানৈক্য খুব কম বিষয়ে আছে। আইএমএফকে আমি আগে বলেছি, তাদের টাকার আমাদের খুব একটা দরকার নেই। আমাদের এখন প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলারের মতো রিজার্ভ আছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা অন্য জায়গায়।’

অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে আইএমএফ টেকনিক্যাল সাপোর্ট ও পরামর্শ দিচ্ছে জানিয়ে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘ব্যাংকগুলো মার্জারের বিষয় তাদের (আইএমএফ) পরামর্শ নিচ্ছি। কারণ এভাবে একসঙ্গে সাত থেকে আটটি ব্যাংক মার্জ করার নজির পৃথিবীতে খুব একটা নেই। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ লাগবেই। আমাদের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ রয়েছে। আইএমএফ আমাদের উন্নয়ন সহযোগী পার্টনার। দেশের প্রযুক্তি ও উন্নয়নে তারা জড়িত। ধারাবাহিকতা ও অংশদারিত্বের প্রয়োজনে তাদের অর্থ আমরা নিতে চাই।’

রুগ্ন কয়েকটি ব্যাংক প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘সেগুলোকে একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে আমরা মার্জ করে দেব। তারপর সেগুলোর মালিকানা আমরা প্রবাসীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তি মালিকানার কাছে দেওয়া হবে। তবে মালিকানা হস্তান্তর করার আগে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। কারণ সেগুলো বন্ধ করার দেওয়ার চেয়ে মার্জ করে চালু রাখলে সরকারের লোকসান কম হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বন্ধ হয়ে যাক এটা আমরা চাই না।’ ব্যাংক পরিচালনায় পতিত সরকারের সময়ের মতো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘কোনোভাবেই না। ব্যাংকগুলো এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এ সেক্টরে হরিলুটের খেলা বন্ধ হয়েছে। ব্যাংক যাতে কোনো পরিবারের দখলে থাকতে না পারে সে বিষয়ে আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে। কোনো রাজনীতিবিদ বা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিচয়ে ব্যাংকের মালিক হবেন তা আমি গভর্নর থাকা অবস্থায় তা হতে দেব না।’

বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা প্রসঙ্গে ড. আহসান মনসুর বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। ব্রিটেনে তারা কাজ করছে। টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত কয়েকশ ব্যক্তিকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের বিষয়ে আমরা ল ফার্মকে হায়ার করছি। ফার্মগুলোকে আমরা তথ্য দিব। তারা যদি অর্থ আদায় করতে পারে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ তাদের দেওয়া হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com