নিজস্ব প্রতিবেদক: বিনিয়োগকারীরা স্লোগানে দিতে থাকেন- দফা এক, দাবি এক, রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ। পুঁজিবাজার ঠিক করো, নইলে বুকে গুলি করো। আমার টাকা, আমার টাকা, ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও। স্বৈরাচারের আস্তানা, বিএসইসিতে হবে না। স্বৈরাচারের এজেন্ডা, বাস্তবায়ন হবে না। গত ১৫ বছরের বিতর্কিত আইপিও ইস্যুকারীদের আইনে আওতায় আনতে হবে বলে দাবি তোলেন পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের নেতারা এ দাবি করেন।
বর্তমান বিএসইসির কমিশনের আমলে ডিএসইর প্রধান সূচক পতন এক হাজার ১০০ পয়েন্ট জানিয়ে মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা বলেন, এই কমিশনের আমলে লেনদেন চলে এসেছে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে। গত আট মাসে বাজার মূলধন কমেছে ৬৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইতিমধ্যে পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই রাস্তায় বসে পড়েছেন। আরও অনেকে রাস্তায় বসার পথে অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে এবং পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে বিএসইসির নেই কার্যকর পদক্ষেপ।
তারা বলেন, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে পতন চলছে। অতীতে তিনি যেখানেই কাজ করেছেন, সেখানেই অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি মোটেও পুঁজিবাজারের পালস বুঝেন না। পুঁজিবাজার নিয়ে তার নেই কোনো অভিজ্ঞতা। স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএসইসির মতো এত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেয়ারম্যান হয়েছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। এখানে তার থাকার কোনো যোগ্যাতা নেই। তাই দ্রুত বিএসইসির এই চেয়ারম্যানকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আগামী ১১ মে পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে বসবেন জানিয়ে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি একে মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টা ওইদিন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কষ্টের কথা শুনবেন। পুঁজি হারানো বিনিয়োগকারীদের পালস বুঝবেন। আশা করছি, পুঁজিবাজারের স্বার্থে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে সরিয়ে নেবেন। একইসঙ্গে পুঁজিবাজার শক্তিশালী করতে দিকনিদের্শনা দেবেন। তাই ১১ মে’র আগ পর্ষন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি না করার ঘোষণা দেন তিনি।
Leave a Reply