নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে নিজ নামে শেয়ার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে।
আইন অনুযায়ী, বিএসইসির কোনো কর্মকর্তা শেয়ারবাজারে লেনদেনে সম্পৃক্ত থাকতে পারেন না। অথচ মোহসিন চৌধুরী চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’-এর মাধ্যমে নিয়মিত শেয়ার কেনাবেচা করছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। সূত্র: যুগান্তর
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, মোহসিন চৌধুরীর নামে নিবন্ধিত বিও অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৪১৫০০৭৪৫১৮৭৩৪ এবং ট্রেডিং কোড ৪৬৩। বিও অ্যাকাউন্টটি খুলশির ‘জিরো ওয়ান লিমিটেড’ ব্রোকারেজ হাউজে খোলা হয়েছে।
এ অ্যাকাউন্টে বর্তমানে বেক্সিমকো লিমিটেডের ২,২৩১টি শেয়ার রয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের পর ফ্লোর প্রাইস উঠে গেলেও বেক্সিমকোর শেয়ার এখনো ফ্লোরে আটকে আছে।
অভিযোগ রয়েছে, বাজারে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে তিনি এই শেয়ার বেছে নিয়েছেন। এছাড়া নাভানা ফার্মা, জেএমআই হাসপাতাল, মেঘনা, ইউনিয়ন ও ইসলামী ইন্স্যুরেন্সসহ আরও ৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি স্পষ্টভাবেই আইন ও নীতিমালার লঙ্ঘন। ২০১১ সালের বিএসইসির এক প্রজ্ঞাপনে স্পষ্টভাবে বলা হয়, কমিশনের কোনো কর্মকর্তা বা তার পরিবারবর্গ শেয়ার লেনদেনে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি ১৯৯৩ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের সংশোধিত রূপে ইনসাইডার ট্রেডিংকেও দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, “বিএসইসির কর্মকর্তারা শেয়ার লেনদেনে অংশ নিতে পারেন না। অভিযোগ সত্য হলে তা গর্হিত ও শাস্তিযোগ্য।”
মোহসিন চৌধুরী ২০২৪ সালের ৮ মে চার বছরের জন্য কমিশনার নিযুক্ত হন। এর আগে তিনি কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক এবং সাবেক সিএজি মুসলিম চৌধুরীর ছোট ভাই হিসেবে প্রশাসনে প্রভাবশালী বিবেচিত।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে শনিবার একাধিকবার মো. মোহসিন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।হোয়াটসঅ্যাপেও কোনো সাড়া দেননি।
Leave a Reply