1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
হিরু চক্রের কারসাজি তদন্তে দুদককে তথ্য পাঠিয়েছে বিএসইসি - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

হিরু চক্রের কারসাজি তদন্তে দুদককে তথ্য পাঠিয়েছে বিএসইসি

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজি এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

জানা যায়, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ডজনখানেকের বেশি কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হিরু চক্রকে মোট ২০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে অনৈতিকভাবে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক। তাই, সংস্থাটির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এসব তথ্য পাঠিয়েছে কমিশন।

এর আগে আবুল খায়ের হিরুর বিনিয়োগ-সংক্রান্ত অভিযোগের রেকর্ডপত্র/তথ্যাদি চেয়ে বিএসইসিতে চিঠি পাঠান দুদকের সহকারী পরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাজ্জাদ হোসেন। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে হিরুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ও ব্যবস্থা গ্রহণের তথ্য দুদকে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চলতি বছরের ১৩ মে মাসের শেষের দিকে একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে আবুল খায়ের সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন, বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।

একইসঙ্গে বিষয়টি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়েছে। তার আগে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর একই বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছিল বিএসইসি।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মো. আবুল খায়ের হিরুর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ- সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গঠিত অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির দাখিল করা দুটি প্রতিবেদনের মধ্যে ফরচুন সুজ লিমিটেড-সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি চলতি বছরের গত ৩ জুন দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। সোনালী পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেড-সংক্রান্ত অপর একটি প্রতিবেদনের সত্যায়িত ছায়ালিপি চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আবুল খায়ের এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক এনফোর্সমেন্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার একটি তালিকা চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো।

আদেশগুলোর কাগজের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শুধু আদেশের অগ্রণী পত্রগুলোর ছায়ালিপি এবং আদেশসমূহের পিডিএফ কপি ই-মেইলের মাধমে প্রেরণ করা হলো।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শেয়ার কারসাজির অভিযোগে আবুল খায়ের, তার পরিবারের সদস্য এবং সহযোগীদের নাম উঠে এলেও কারো বিরুদ্ধে তেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন পুনর্গঠিত বিএসইসি আবুল খায়ের ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি, আবুল খায়েরের ব্যবসায়িক পার্টনার বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকেও ছাড় দেয়নি বিএসইসি।

আবুল খায়ের ও তার সহযোগীদেরকে ২০২২ সালের ১৯ জুন থেকে ২০২৪ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৫ মে পর্যন্ত সময়ে ১৯৪ কোটি ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে বিএসইসি।

আবুল খায়ের হিরুর বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট নম্বরগুলো হলো-১২০১৯৫০০৬২১৬৪৫৩৫, ১২০২৬০০০৭১০৯১১১৬, ১২০৪৫৯০০৬৭৭১২৭৮১, ১২০৫৫৯০০৭১০৯১১১৬, ১২০৫৯৫০০৭১০৯১১১৬, ১৬০৪৫৩০০৬২১৬৪৫৩৫ ও ১৬০৫১১০০৭১০৯১১১৬। তিনি সরকারি কর্মচারী হয়েও বাবা, মা, ভাই, বোন, শ্যালক ও ব্যবসায়িক অংশীজনদের নিয়ে পুঁজিবাজারে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে করসাজি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসইসির এক কর্মকর্তা বলেন, আবুল খায়ের হিরুসহ তার সহযোগীদের শেয়ার কারসাজি করে মুনাফা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। তাই, তদন্তের স্বার্থে বিএসইসির কাছে তথ্য চেয়েছে দুদক। সংস্থাটির চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়েছে বিএসইসি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com