1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বিআইএফসির ঋণের ৬২২ কোটি টাকা সুমন গ্রুপে - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বিআইএফসির ঋণের ৬২২ কোটি টাকা সুমন গ্রুপে

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি) আর্থিক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এখন অস্তিত্ব সংকটে। যা তৈরী হয়েছে বিধিবর্হিভূতভাবে ও অযোগ্য সুমন গ্রুপকে ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে। যে গ্রুপকে লিজিং কোম্পানিটির প্রদত্ত মোট ঋণের ৬২২.৩৯ লাখ বা ৮০ শতাংশ প্রদান করা হয়েছে।

আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বিএআইএফসি থেকে প্রদত্ত মোট ঋণের পরিমাণ ৭৭৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। যার ৬২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা বা ৮০ শতাংশই দেওয়া হয়েছে সুমন গ্রুপকে। যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর ১৪ ধারার লঙ্ঘন।

এ কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকার উৎসে কর এবং ১ কোটি ১০ লাখ টাকার এক্সাসাইজ ডিউটি সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কর্পোরেট গভর্ণেন্স কোডও পরিপালন করা হয়নি। এ কোম্পানিটিতে কর্পোরেট গভর্ণেন্স কোড অনুযায়ি, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও প্রধান ইন্টারনাল অডিট ও কমপ্লায়েন্স অফিসার নেই।

ধংস হয়ে যাওয়া এ লিজিং কোম্পানিটিতে ৪৩ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ি ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) স্থানান্তর করা হয়নি।

মিউটেশন রেকর্ড, খাজনা রশিদ ও সীমানা ডকুমেন্টের অভাবে মতিঝিলের ৪৪ কোটি টাকার মালিকানা সত্যিই বিআইএফসি কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিরীক্ষক। এছাড়া স্টেটমেন্ট ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কনফার্মেশনের অভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেওয়া ৩৫০ কোটি ২৭ লাখ টাকার ঋণের তথ্য নিশ্চিত হতে পারেনি। এমনকি ব্যাংকে জমা ২৪ লাখ টাকার বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারেনি।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, আর্থিক হিসাবে বিবিধ ডিপোজিট হিসেবে ‘অন্যান্য দায়’ বলে ৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ঋণাত্মক ব্যালেন্স হলেও ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার কোন সন্ধান পায়নি নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০০৬ শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বিআইএফসির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১০০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৫৯.৪৫ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের হাতে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com