1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
জুনের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার, আশাবাদী ডিএসইর চেয়ারম্যান - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

জুনের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে শেয়ারবাজার, আশাবাদী ডিএসইর চেয়ারম্যান

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠন করা টাস্কফোর্সসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপগুলো যথাসময়ে বাস্তায়ন সম্ভব হলে আগামী জুনের মধ্যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, জুন মাসের মধ্যেই বাজার ঘুরে দাঁড়াবে বা সব ঠিক হয়ে যাবে তা নয়, তবে মার্কেটে একটা সিগনাল পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আমাদের পদক্ষেপ বা কাজগুলো যে কাজ করছে তার একটা পজেটিভ অবস্থা ফুটে উঠবে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ এ তিনি এ কথা বলেন।

সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক আবু আলীর সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি গোলাম সামদানি ভুঁইয়া।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের মধ্যে অন্যায় কাজের সাথে কারা জড়িত তা ইন্টারনাল তদন্ত প্রতিবেদন আসলে তা বের হয়ে আসবে। এখন আমরা ডিএসইর কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা ব্রোকার হাউস থেকে হতে পারে। এজন্য এই বিষয়ে সমাধানের জন্য সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে শেয়ারবাজার অনেক পিছিয়েছে। তবে একইসময়ে বিশ্বের অন্যসব দেশের শেয়ারবাজার এগিয়েছে। এই অবস্থাং বর্তমান সময়ে দেশের সব স্টেকহোল্ডাররা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, আমার এরইমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কাজের ফলাফল পেতে একটু সময় লাগবে। অনেকটা একটি ভবনের ভিত্তি নির্মাণ যেমন বাহিরে থেকে দেখা যায় না, সেরকম। তবে ভবনের উপরে নির্মাণ কাজটা সবাই দেখতে পায়। কিন্তু আসল কাজটা করা হয় ওই ভিত্তি নির্মাণের সময়।

তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারের উন্নয়ন আশানুরূপ হচ্ছে না। তবে এর থেকে বের হয়ে আসতে ডিএসই কাজ করছে। বিশেষ করে বাজারে কারসাজির বিষয়ে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপকে গুরুত্ব দিয়েই আমরা সংস্কার কাজ করছি।

ডিএসইর এই চেয়ারম্যান বলেন, সবকিছুই বিফলে যাবে, যদি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে না পারি। এজন্য স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৪টি কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৪টি কাজের মধ্যে দ্রুত সময়ে কিছু ভালো কোম্পানি নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। এছাড়া নেগেটিভ ইক্যুইটির সমস্যা সমাধান, ট্যাক্স সুবিধা দেওয়া ও ইনসাইডার ট্রেডিং বন্ধ করা। এই ট্রেডিংয়ের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে শেয়ারবাজারের যে ভূমিকা থাকার কথা ছিল, তা হয়নি। প্রত্যাশার লেভেল থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।

তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জগুলোও অনেক সমস্যায় ছিল। এরমধ্যে অন্যতম নিয়ন্ত্রক সংস্থার অযাচিত হস্তক্ষেপ। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের মানব সম্পদের অদক্ষতা ও প্রযুক্তিগত সমস্যা রয়েছে। আর ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত সক্ষমতা না থাকায় আমাদের বাজারের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমাদের অপারেটিং প্রসেসিংয়েও দুর্বলতা আছে। আমাদের সিটিও নেই দীর্ঘ সময় ধরে। তাই টেকনোলজিস সমস্যা বারবার হচ্ছে। প্রযুক্তি টিমে যে পরিমাণ লোকবল প্রয়োজন সেখানেও আমরা ফুলফিল করতে পারিনি। শেয়ারবাজারে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেকনোলজির বিষয়টি, সেটাতে আমাদের ঘাটতি আছে। আমরা কাজ করছি আশা করছি এই বিষয়গুলো সমাধানের দিকে যেতে পারবো। এছাড়াও এমডি এবং সিওও’র মতো পদগুলো খালি থাকায় কাজের গতি আসছে না।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, কোন রকম চাপ বা কোন অনাঙ্ক্ষিত নির্দেশনার মত ঘটনা হয়নি। আমরা চাপ বিহীনভাবে কাজ করছি। আমাদের সব সিদ্ধান্ত গনতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে। আমাদের বোর্ডের যে নিয়ম রয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ করছি। নিয়মের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, আমরা ডিএসইর সমস্যাগুলো বের করার চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে সমস্যার তালিকা অনেক লম্বা হচ্ছে, এগুলো সমাধানে কাজ করছি। আমাদের অজান্তে কোন ভুল হতেই পারে সেক্ষেত্রে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের কাছেও পরামর্শ আশা করছি।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের অর্থ সরিয়ে নিয়েছে ইনভেস্টর প্রোটেকশন ফান্ড থেকে তাদের সাপোর্ট দেয়া যেতে পারে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজের সম্পদ বিক্রি করে এবং লাইসেন্স বিক্রি করে ওইসব হাউজের বিনিয়োগকারীদের তহবিল যোগান দেয়া হবে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বাজারের উন্নয়নের জন্য বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের সাথে। এছাড়াও দেশে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতা কামনা করবো। আশা করছি এই সহযোগিতা আমরা পাবো।

তিনি বলেন, তিনি বলেন, জুনের মধ্যে সব রিফর্মেশনগুলো হবে না। তবে কিছু কিছু রিফর্মেশন হয়ে যাবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরাবে বলে মনে করছি। তারা (বিনিয়োগকারী) বিশ্বাস করতে শুরু করবে যে, রিফর্ম হচ্ছে। বাজারে দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। এখানে অন্যায় করে ছাড় পাওয়া যাবে না, সেই আস্থা ফিরবে।

তিনি আরও বলেন, আগে প্রাইমারি রেগুলেটরকে সব ক্ষেত্রেই বিএসইসির অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে হতো। যার ফলে কোম্পানিগুলোকে মনিটরিং করা ডিএসইর জন্য অনেকটা কষ্টকর হয়ে উঠেছিলো।এই অবস্থান থেকে আমরা অনেকটা বের হয়ে আসছি। দুর্বল কোম্পানিগুলোতে এখন ডিএসইর মনিটরিং বাড়বে। এখানে সমস্যা হচ্ছে, এই বাজারের বেশিরভাগ কোম্পানিই দুর্বল। এতগুলো দুর্বল কোম্পানিকে একসঙ্গে মনিটরিং করা ডিএসইর জন্য কষ্টকর।

‘আমাদের বাজারে এমন কিছু কোম্পানি তালিকাভুক্ত হয়েছ, যেগুলো তালিকাভুক্ত হওয়ার কথা ছিলো না। এগুলোকে ডিলিস্টিং করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com