নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে দীর্ঘ ২০ বছর পর শনিবার লেনদেন হচ্ছে। পতনের বৃত্তে আটকে থাকা শেয়ারবাজারে এমন ঐতিহাসিক দিনেও শুরুতে দরপতনের প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত বড় উত্থানে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে লেনদেনেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত বড় উত্থান পেয়েছে শেয়ারবাজার।
প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫৩ কোটি টাকার বেশি। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৫০-এর কম প্রতিষ্ঠান।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ। এদিন ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৩৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮২০ পয়েন্টে।
অন্য সুচকগুলোর মাঝে, শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ১৩ দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫০ পয়েন্টে আর ‘ডিএস৩০’ ১৮ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৮৮ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে মোট ২৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৯৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার।
আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৬ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭৭ টির, কমেছে ৭৯ টির অপরদিকে অপরিবর্তীত রয়েছে ৪০ টি কোম্পানির শেয়ারদর।
এক সময় দেশে সপ্তাহিক সরকারি ছুটি ছিল একদিন। ১৯৯৭ সালে প্রথম দুদিন (শুক্রবার ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি নির্ধারণ করা হয়। তবে ২০০১ সালে তা বাতিল করে আবার সাপ্তাহিক ছুটি একদিন করা হয়। অবশ্য ২০০৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আবার সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করা হয়।
সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন করায় দেশের শেয়ারবাজারের লেনদেনেও দুদিন বন্ধ থাকে। তবে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকার দীর্ঘ ছুটি দেওয়ার পাশাপাশি দুই শনিবার অফিস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তার আলোকে আজ (শনিবার) সরকারি সব অফিস খোলা থাকার পাশাপাশি শেয়ারবাজারে লেনদেন চলছে।
এর মাধ্যমে ২০০৫ সালের পর আবারও শেয়ারবাজারে শনিবারে লেনদেনের ঘটনা ঘটলো।
Leave a Reply