1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
জুলাই-আগস্টে সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে দুই হাজার ৫১৭ কোটি টাকা - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

জুলাই-আগস্টে সরকারের ব্যাংক ঋণ কমেছে দুই হাজার ৫১৭ কোটি টাকা

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যাংক ঋণে নির্ভরতা কমে আসছে সরকারের। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকার যে পরিমাণ ঋণ নিচ্ছে, তার চেয়ে বেশি পরিশোধ করছে। এতে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস (জুলাই-আগস্ট) সরকারের ঋণ কমেছে দুই হাজার ৫১৭ কোটি টাকা।

জানা যায়, চলতি অর্থবছর ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ব্যয়ের তুলনায় আয় বেশি থাকায় সরকার আগের দায় পরিশোধে এগিয়ে রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্ট শেষে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ কমে পাঁচ লাখ ৪৪ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা হয়েছে। জুন শেষে এই ঋণের পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা।

তবে প্রথম দুই মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে সরকারের নিট ঋণ বেড়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা। আগস্ট শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায়।

অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন ঋণ নেওয়ার চেয়ে বেশি পরিশোধ করেছে তিন হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারের ঋণ কমে ৮৮ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকায় নেমেছে।

গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর ব্যাংক থেকে সরকার নিট ৭২ হাজার ৩৭২ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিল। গত চার অর্থবছরের মধ্যে এটিই ছিল সর্বনিম্ন। এই পরিমাণ গত অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা কম।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)সহ বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে গত অর্থবছরের শেষ সময়ে বিপুল পরিমাণ ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। আবার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উন্নয়ন প্রকল্পে ধীরগতি শুরু হয়েছে। যার ফলে সরকারের তেমন ঋণের চাহিদা নেই। এরই মধ্যে ট্রেজারি বিল ও বন্ডে সুদের হার অনেক কমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে এখন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে বাজারে তারল্য কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধান নীতি সুদের হার রেপোতে ১০ শতাংশ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
দুই অঙ্কের ঘরে থাকা মূল্যস্ফীতি কমে গত আগস্টে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে নেমেছে। গত ৩৭ মাসের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি জানিয়েছেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ভালো হওয়ায় মূল্যস্ফীতি কমছে। তিনি বলেন, আগামীতে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে। মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশের নিচে না নামা পর্যন্ত নীতি সুদের হার পরিবর্তন করা হবে না।

ব্যাংকের বাইরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সঞ্চয়পত্রে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে সরকারের ঋণ বেড়েছে এক হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। গত অর্থবছর এই খাতে ঋণ কমেছিল ছয় হাজার ৬৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকায়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com