1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
স্টাইলক্রাফটের ৪৮ কোটি টাকার রপ্তানি বিলের প্রমাণ নেই - Business Protidin
শিরোনাম :
ট্রেডক্যাপের ২২ হাজার বিনিয়োগকারী বিপাকে দুর্নীতির চার মামলা আল-আরাফাহ্ ব্যাংকের সাবেক এমডি-ডিএমডির বিরুদ্ধে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু

স্টাইলক্রাফটের ৪৮ কোটি টাকার রপ্তানি বিলের প্রমাণ নেই

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্টাইলক্রাফট লিমিটেড টানা তিন বছর লোকসানে। যার ফলে লভ্যাংশও নেমেছে তলানিতে। এরই মধ্যে আর্থিক হিসাবে অসংগতি ধরা পড়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে কোম্পানির ৪৮ কোটি টাকার রপ্তানি বিলের কোনো পর্যাপ্ত নথি পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোম্পানিটির চলমান লোকসানের কারণে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

স্টাইলক্রাফটের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানি ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা রপ্তানি বিল পাওনার হিসাব দেখিয়েছে। তবে এই পাওনার সপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

নিরীক্ষকেরা তাঁদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, স্টাইলক্রাফটের নিয়মিত লোকসান এবং আর্থিক অনিয়মের কারণে কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা বা টিকিয়ে রাখা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তবে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এর বাইরে আর কোনো অসংগতি বা কোয়ালিফায়েড অপিনিয়ন দেওয়া হয়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্টাইলক্রাফটের বর্তমান অবস্থা বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদে কোম্পানিটি টিকে থাকতে চাইলে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে।

স্টাইলক্রাফটের আর্থিক হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছরেই কোম্পানি লোকসানে ছিল। ২০২১ সালে শেয়ারপ্রতি ৯৩ পয়সা লোকসান গুনলেও ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ টাকা ১১ পয়সায়। ২০২৩ সালেও কোম্পানির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল ৪ টাকা ৮৭ পয়সা।

লোকসানের এই ধারাবাহিকতা কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদানে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। ধারাবাহিকভাবে লভ্যাংশ দেওয়ার ইতিহাস থাকলেও ২০২১ সালে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশই দেয়নি স্টাইলক্রাফট। অথচ এর আগে কখনো ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। পরের দুই বছরে লোকসানের মধ্যে নামমাত্র লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানি। এর মধ্যে ২০২২ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২০ পয়সা পান বিনিয়োগকারীরা। আর ২০২৩ সালে ১ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা দেওয়ার ঘোষণা করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

লোকসানের প্রভাব কোম্পানির শেয়ারদরেও পড়েছে। ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর স্টাইলক্রাফটের শেয়ারদর ছিল ১১২ টাকা। অথচ গত বৃহস্পতিবার (২০২৪ সালের) তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। দুই বছরে শেয়ারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা বা ৫১ দশমিক ৬০ শতাংশ।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্টাইলক্রাফটের পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, আর বাকি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com