1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি পরিদর্শন করবে ডিএসই - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানি পরিদর্শন করবে ডিএসই

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা জানতে তাদের প্রধান কার্যালয়, কারখানা প্রাঙ্গণ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত স্থান সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সম্প্রতি ডিএসইর কোম্পানিগুলোর পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে বিএসইসির কাছে আবেদন জানায়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইকে কোম্পানিগুলোর কারখানা সরেজমিন পরিদর্শন করার অনুমতি প্রদান করেছে বিএসইসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কোম্পানিগুলো হলো- অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন লিমিটেড, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, কৃষিবিদ সিড লিমিটেড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল পিএলসি, রিং সাইন টেক্সটাইল লিমিটেড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বিচ হ্যাচারি লিমিটেড, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ফু-ওয়াং সিরামিক লিমিটেড।

এসব কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বেশ নাজুক। এর তিনটি কোম্পানি সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা দিতে পারেনি।

পরিদর্শনের অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, কৃষিবিদ সিড ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল পিএলসি ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, বিচ-হ্যাচারি ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ০.১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করেছে। আর সর্বশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করেনি অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, রিং সাইন টেক্সটাইল ও গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল।

জানা গেছে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না। কোনো কোনোটি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে না এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা বিনিয়োগকারীদের বিতরণ করছে না। আবার কোনো কোনো কোম্পানির উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। কোনো কোনো কোম্পানি তাদের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) নিয়মিত করছে না। আবার কোনো কোনো কোম্পানি যথাসময়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিয়োগকারীদের জানাচ্ছে না।

২০২৩ সাল থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সার্বিক কার্যক্রম খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয় ডিএসই। ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর অনুমতি চেয়ে বিএসইসিকে চিঠি দিয়েছিল ডিএসই। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি ৩১টি কোম্পানি পরিদর্শনের জন্য ডিএসইকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে আরো ২৩টি কোম্পানির সরেজমিন পরিদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়। ডিএসইর চিঠির প্রেক্ষিতেই দুই দফায় ৫৪টি কোম্পানি সার্বিক অবস্থা দেখার অনুমতি পেয়েছিল ডিএসই।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে বিচ হ্যাচারি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, ফু-ওয়াং সিরামিক ‘বি’ ক্যাটাগরিতে, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে, রিং সাইন টেক্সটাইল ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে এবং গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। আর এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কোনো ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়নি। তাই কৃষিবিদ সিডের কোনো ক্যাটাগরিতে নেই।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির প্রধান কার্যালয়, কারখানা প্রাঙ্গণ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত স্থান সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডিএসইর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ কোম্পানির প্রধান কার্যালয়, কারখানা প্রাঙ্গণ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত স্থান পরিদর্শন করার অনুমতি প্রদান করা হলো। এ বিষয়ে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গত ৪ মার্চ ডিএসইর পরিদর্শন দল সরেজমিন গিয়ে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের কারখানা বন্ধ পায়। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর পরিদর্শন দল সরেজমিন গিয়ে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সাফকো স্পিনিংস মিলস লিমিটেডের কারখানাও বন্ধ পায়। এদিকে, গত বছরের ২২ অক্টোবর তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেডের কারখানা সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েও বন্ধ পায় ডিএসই। কোম্পানিগুলোর বর্তমান পরিস্থিতি জানার জন্য কারখানা পরিদর্শনে যান ডিএসই’র কর্মকর্তারা। এসব কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল কোম্পানিগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসই।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com