1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি গ্রাহকদের - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি গ্রাহকদের

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক পিএলসির বোর্ড গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক। তবে নবগঠিত এ বোর্ড ব্যাংকটির উন্নতি করতে পারবে না বলে মনে করছেন গ্রাহকদের একটি অংশ। তারা এ ব্যাংকটির বোর্ডকে পুনর্গঠন করারও দাবি জানানো হয়েছে।

শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থা অবৈধ প্রভাব থেকে রক্ষার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি জানান। সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে গভর্নর বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘যারা ইসলামী ব্যাংক তৈরি করেছেন, তাদের কাছেই ব্যাংকটি সবচেয়ে বেশি নিরাপদ।’

সভায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, ‘ইসলামী ব্যাংক চালাতে হলে ইসলাম লাগবে। ব্যাংকটি যারা প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা ইসলামের খেদমত করতে চেয়েছে। বিদেশি যেসব বিনিয়োগকারী এসেছিল তারাও ইসলামের খেদমত করার জন্য এসেছিল। কিন্তু যখন তারা দেখেছে ব্যাংকটি অন্যায়ভাবে দখল হয়েছে, এরপর ব্যাংক থেকে ইসলাম বিদায় নিল তখন তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই আমি গভর্নরকে অনুরোধ করব, ২০১৭ সালের আগে যারা বোর্ডে ছিলেন অথবা যাদের মধ্যে ইসলাম রয়েছে, এমন যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করুন।’

তিনি বলেন, ‘যারা ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিল তারা কর্মীদের কম বেতন দিতেন, কম খরচ করতেন। এভাবে তারা অনেক সম্পদ জমা করেছিল যাতে ইসলামী অর্থনীতির শক্ত ভিত্তি গড়ে ওঠে। এটিই ইসলামী ব্যাংকের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। লুটেরা গোষ্ঠী যখন দেখল এখানে অনেক সম্পদ জমা আছে তখন তারা সেটি দখলের পাঁয়তারা শুরু করল। একে একে সবগুলো ইসলামী ব্যাংক দখল হয়ে গেল। একসময় ইসলামী ব্যাংক অন্য ব্যাংককে ধার দিত। এখন ব্যাংকটিকে ধার করে চলতে হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না। তাই গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে হবে। যদি তার দেখে আমানতের নিরাপত্তা রয়েছে, তাহলে আবার ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখতে শুরু করবে। ’

প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাকদের নিয়ে আয়োজিত ‘গ্রাহক সমাবেশে’ বক্তৃতা করেন ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এ সময় এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ- বিকেএমইএসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, ‘বর্তমানে কোনো ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের এলসি নেয় না। এটি উদ্বেগজনক। আমরা এর সমাধান চাই। একসময় ইসলামী ব্যাংকের নাম শুনলে বিনা প্রশ্নে এলসি গ্রহণ করা হতো।’

তারা বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংককে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আগের ব্যবস্থাপকদের পুনর্বহাল করতে হবে। কারণ ১৬ সালের পরে ইসলামী ব্যাংকের কোনো সফলতা নেই। আছে লুটপাটের ইতিহাস। কোনো নন ইসলামিক লোকের কাছে ইসলামী ব্যাংক নিরাপদ নয়। এটি ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। তাই ইমান-আকিদা সম্পন্ন লোক দিয়ে এটি পরিচালনা করতে হবে। বর্তমানে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সুদি ব্যাংকিংয়ে পটু। তাকে দিয়ে ইসলামী ব্যাংক চলতে পারে না। তিনি বিগত সরকারের সুবিধাভোগী। ৩টি সুদভিত্তিক সরকারি ব্যাংকের এমডি ছিলেন। তিনি এস আলমের পেইড এজেন্ট।’

এসময় বক্তরা আরো বলেন, ‘লুটেরাদের বিচার করতে হবে। যাদের অবৈধভাবে ব্যাংক থেকে তাড়ানো হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এস আলমের সব কর্মীদের বাদ দিতে হবে। এরা ব্যাংক পরিচালনায় অযোগ্য। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকিং আইন প্রণয়নের জন্য জোর দাবি জানানো হয়েছে।’

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com