1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব: অর্থসচিব

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ার কারসাজি ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব। এবিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কাজ করবে বলেও মনে করছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন। এসময় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ সচিব বলেন, এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের সমস্যাগুলো আজকের আলচনায় উঠে এসেছে। সরকার সহ বড় বড় সবাই ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়। এখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা শোচনীয়। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারে আসতে হবে, এজন্য মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আইসিবি সরকারের পক্ষে কাজ করছে। বিএসইসি রেগুলেশন নিয়ে কাজ করছে। আইসিবিকে যে ৩ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে, তা পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের পজিটিভ চিন্তার ফল।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধ্যাপক আবু আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কর নীতি) একেএম বদিউল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান (বিএসইসি) খন্দকার রাশেদ মকসুদ, বিএসইসির কমিশনার মহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ, ফারুক আহমদ সিদ্দিকী।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, বিএসইসির সাবেক কমিশনার আরিফ খান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মোর্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মিনহাজ জিয়া।

বিএসইসি কমিশনার আলী আকবর বলেন, পুঁজিবাকারে অনেকগুলো আইন রয়েছে। কমিশন অনেকদূর এগিয়েছি। আমরা এখন কেউ বলতে পারবো না যে, আমরা চাপে আছি। এমন পরিস্থিতিতে যার যার যায়গা থেকে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিতে না পারি তাহলে সবার ব্যর্থতা হবে। এখন থেকে পুঁজিবাজার তার নিজের গতিতে চলবে।

আইসিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, প্রাইস সেনসেটিভ ইনফরমেশন অনেক ক্ষেত্রে ভূয়া। এসব তথ্য প্রকাশের পর দেখা যায় শেয়ারের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এরপর দেখা গেলো আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য সঠিক না। কিছু প্রণোদনা ছাড়া ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনা কঠিন। সরকার কোথাও কোনো টাকা দিতে চায় না। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বেশি দিতে চায়না। এরপরও পুঁজিবাজারের জন্য আইসিবিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। মার্কেটের সমস্যাগুলো অনেক আগেই চিহ্নত করা হয়েছে।

আইসিবিকে টাকা দিলে পুঁজিবাজারের স্বার্থে ব্যাবহার করা হবে। আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সুদের হার কমতে পারে। আর সুদের হার কমলে পুঁজিবাজারে টাকা আসা শুরু করবে বলেও মনে করছেন আইসিবি চেয়ারম্যান।

বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মাজেদা খাতুন বলেন, বিএমবিএ পুঁজিবাজারের চাহিদা ও যোগান দুই পাশেই কাজ করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার কাঙ্খিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। নতুন বাংলাদেশে যাতে করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা হয় এজন্য আজকের এই আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে।

ডিএসইর চেয়ারম্যান মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের টেকনোলজিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। তবে ৫ বছর পরে দেখা গেলো পুঁজিবাজারে ডিমিউচুয়ালাইজেশনে দেখা গেছে চাহিদা পূরণ হয়নি। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় আর্থিক অবস্থা দেখে। তবে আমাদের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্বাস করার মতো কিনা সেটা নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত।

সিএসইর চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, এতদিন আমরা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি, সেগুলো আবারও বলছি। কারণ বিএসইসি কিছু রিফর্ম উদ্যোগ গ্রহণ করা হছে। সেই রিফর্মের মাধ্যমে আমাদের সমস্যাগুলো সমাধান হবে বলে আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদাভাবে তালিকাভুক্ত হতে হয়। এতে খরচ বাড়ে বলেও আলোচনায় উঠে এসেছে। এজন্য আঞ্চলিক যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে চায় সেগুলো সিএসইতে লিস্টেড করা যেতে পারে। এছাড়া মূলধনের ভিত্তিতে কোম্পানিগুলোকে ভাগ করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী বলেন, সিঙ্গেল ব্রোয়ার এক্সপোজার ঝুঁকির সঙ্গে জড়িত। বাজার স্থিতিশীল হলে এক্সপোজার উঠিয়ে আরও বাড়ানো হতে পারে। ব্যাংকগুলো ফাইন্যান্স করার আগে দেখে, ইক্যুয়েটি পার্টিসিপ্যান্ট কতটুকু। পুঁজিবাজার ভালো করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তত।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com