1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
আয়-ব্যয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা বীচ হ্যাচারির - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

আয়-ব্যয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণা বীচ হ্যাচারির

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বীচ হ্যাচারি। কোম্পানিটি দীর্ঘদিন পরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদনে এসেই ভূয়া আয় ও মুনাফা দেখিয়ে প্রতারণা করে সাধারন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের হিসাবেও বজায় ছিল।

কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ ভূয়া আয় দেখানোর সঙ্গে ব্যয়ের ক্ষেত্রেও মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। ফলে নিরীক্ষককে আয় ও ব্যয়ের কোন ব্যাখ্যা বা প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি। কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাব নিরীক্ষায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

জানা যায়, কক্সবাজারে অবস্থিত বীচ হ্যাচারির ভবন ও হ্যাচারি ইক্যুপমেন্ট মেরিন ড্রাইভ রোড নির্মাণের জন্য সরকার ভেঙ্গে ফেলেছিল। এছাড়া হ্যাচারি প্লান্ট গঠনের জন্য থাকা কিছু জমিও অধিগ্রহন করেছিল। যাতে করে ২০১৬ সালের ২৪ জানুয়ারি থেকে কোম্পানির পুরো বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে চিংড়ি ব্যবসায়ী এ কোম্পানিটি ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ব্যবসায় ফিরেছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে প্রতারণার আশ্রয়।

বীচ হ্যাচারির আর্থিক হিসাবে ২২ কোটি ১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি দেখানো হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে পাওয়া গেছে মাত্র ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে পার্থক্য হওয়া ১৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নগদে বিক্রি দেখিয়েছে বীচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে নিরীক্ষক।

কোম্পানির কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসাবে ব্যয়জনিত দায় দেখিয়েছে ৯৫ লাখ টাকা। কিন্তু তারা অ্যাকাউন্টস সঠিকভাবে করেনি এবং ওই দায়ের স্বপক্ষে কোন প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি। ফলে ওই দায়ের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, বীচ হ্যাচারিতে ২০ লাখ টাকার অবন্টিত লভ্যাংশ রয়েছে। যা দীর্ঘদিন ধরে হিসাবে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সঠিক অ্যাকাউন্টস রক্ষণাবেক্ষন করে না কোম্পানির কাছে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দাবি করে চিঠি দিয়েছে আয়কর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ওই দাবি পরিশোধে পর্যাপ্ত প্রভিশনিং করেনি।

এদিকে বীচ হ্যাচারি কর্তৃপক্ষ আইএএস-১২ এর ৫৮ অনুযায়ি, ডেফার্ড ট্যাক্স গণনা করেনি। এছাড়া আইএএস-২৪ এর ১৭ অনুযায়ি রিলেটেড পার্টি ডিসক্লোজারস দেয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com