1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
‘দরবেশহীন’ বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফা বৃদ্ধি, কমেছে সুদ ব্যয়ও - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

‘দরবেশহীন’ বেক্সিমকো ফার্মার মুনাফা বৃদ্ধি, কমেছে সুদ ব্যয়ও

  • সর্বশেষ আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি মুনাফা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির সুদ ব্যয়ও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের আগে বেক্সিমকো গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন পুঁজিবাজারের ‘দরবেশ’ খ্যাত সালমান এফ রহমান। সরকার পতনের পর কোম্পানি দুটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তার ছোটভাই আহমেদ সোহেল ফসিহুর রহমান। ফ্যাসিস্ট সরকারের বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্ববিহীন বেক্সিমকো ফার্মা পূর্বের তুলনায় ভালো করতে দেখা গেছে।

আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বেক্সিমকো ফার্মার চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কোম্পানির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৬ টাকা ৬৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৬ টাকা ১৩ পয়সা। চলতি অর্থবছরের শেষ তিনমাসে শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা হয়েছিল ৩ টাকা ২১ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১১ টাকা ৩৫ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ১০১ টাকা ১১ পয়সা।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মার প্রশাসনিক ব্যয় কিছুটা বেড়েছে। তবে বেতন ব্যয় কমেছে। বেতন ব্যয় কমার পরও প্রশাসনিক ব্যয় বাড়ার কারণ যাতায়াত ও অন্যান্য ব্যয় বেড়ে গেছে।

২০২৪ সালের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির প্রশাসনিক ব্যয় হয়েছে ৬৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে বেতন বাবদ ব্যয় রয়েছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রশাসনিক ব্যয় ছিল ৬৫ কোটি ২৪ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং বেতন বাবদ ব্যয় ছিল ৩৫ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বেতন ব্যয় প্রায় ১ কোটি টাকা কমেছে।

সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে চলমান হিসাব বছরে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ৬ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এ হিসাবে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতেও প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় কমেছে।

বিপরীতে যাতায়াত খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ২ কোটি ৯৬ হাজার টাকা। আর প্রশাসনিক অন্য খাতগুলোতে ব্যয় হয়েছে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ ১১ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ১৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।

এছাড়া কোম্পানি সেক্রেটারিয়াল, রেগুলেটরি ফি ও এজিএম খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ২৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এই ব্যয় হয় ১ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাো। অবচয় খাতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৫৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। নিরাপত্তা খাতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ব্যয় হয় ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

অন্য খাতগুলো থেকে বেক্সিমকো ফার্মার আয় বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই আয় বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সুদজনিত আয়, রয়েলিটি এবং মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্য। বিপরীতে রপ্তানির বিপরীতে কোম্পানিটির নগদ সহায়তা পাওয়ার পরিমাণ কমেছে।

চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে বেক্সিমকো ফার্মার সুদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ আয় ছিল ৬৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। রয়েলিটি থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাতে আয় হয় ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। মুদ্রার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে আয় হয়েছে ৬ কোটি ১২ লাখ ৬ হাজার টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এ খাতে ৭ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকা লোকসান হয়।

অন্যদিকে, চলমান হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটি রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পেয়েছে ৮ কোটি ৮২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার পরিমাণ ছিল ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

এছাড়া স্থানীয় সম্পত্তি বিক্রি করে লোকসান হয়েছে ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকা আয় হয়। বিবিধ খাত থেকেও আয় কমেছে। বিবিধ খাত থেকে আয় হয়েছে ৬ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ খাত থেকে আয় হয় ২৪ লাখ ৫ হাজার টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com