নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) গঠিত তদন্ত কমিটি ৬টি কোম্পানির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে বিএসইসি। তবে প্রতিবেদনে তুলে ধরা দায়ীদের বিষয়ে কোন কিছু প্রকাশ করেনি। এর মাধ্যমে দোষীদেরকে আড়াল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানিয়েছে, বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জকমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক গঠিত ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ ইতোমধ্যে ৬টি তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম চলমান আছে
যেসব কোম্পানির তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয়েছে সেগুলো হল:
১) বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইসতিসনা (BEXIMCO Green Sukuk Al Istisna’a) ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত;
২) আইএফআইসি গ্র্যান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ গ্রীন জিরো কুপন বন্ড (IFIC Guaranteed Sreepur Township Green Zero Coupon Bond) ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত;
৩) বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড সংক্রান্ত আইপিও (IPO) অনুমোদন ও ইস্যু সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৪) আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, ব্লক মার্কেটে শেয়ার অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কারসাজি এবং ওটিসি থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক আরোপিত শর্তসমূহ পরিপালনের হালনাগাদ তথ্যাদিসহ যাবতীয় বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত;
৫) ফরচুন সুজ লিমিটেড সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ সংক্রান্ত অনিয়ম এবং কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য বৃদ্ধির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
৬) কোয়েস্ট বিডিসি লিমিটেড (পূর্বে পদ্মা প্রিন্টার্স অ্যান্ড কালারস লিমিটেড) সংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজির বিষয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত।
এ কোম্পানিগুলোতে বিএসইসির আগের কমিশনের চেয়ারম্যানসহ ২ কমিশনার ও বিএসইসির বর্তমান অনেক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম উঠে এসেছে। কিন্তু বিএসইসি সেই রিপোর্ট সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করছে না। তারা দায়সাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর নাম প্রকাশ করেছে। যদিও সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছিলেন।
Leave a Reply