নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে শরীয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।
তিনি বলেন, শুধু ইসলামিক বন্ড মার্কেট নয়, বরং শরীয়াহভিত্তিক সম্পূর্ণ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার পুনর্গঠন এখন সময়ের দাবি।
রোববার (২০ জুলাই) বিএসইসি গঠিত শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য মনোনয়নসংক্রান্ত কমিটির প্রথম সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২১ জুলাই) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। উপস্থিত ছিলেন কমিশনার মো. আলী আকবর, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অলী উল্লাহ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এইচ এম মোশারফ হোসেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের থিওলোজি বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. আ. ব. ম. ছিদ্দিকুর রহমান আশরাফী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী এবং বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক শেখ মো. লুৎফুল কবির।
সভায় শরীয়াহভিত্তিক সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিধিমালা, কাউন্সিলের গঠন ও কার্যক্রম তুলে ধরে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয় এবং বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
চেয়ারম্যান বলেন, “বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ মুসলিম এবং তারা সুদভিত্তিক বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। শরীয়াহ অনুবর্তী সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় আমরা ‘শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল রুলস ২০২২’ প্রণয়ন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, শরীয়াহ অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের মাধ্যমে ইসলামিক সিকিউরিটিজ বাজারে আনার সুযোগ বাড়বে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর আগ্রহও বাড়বে বলে আমাদের বিশ্বাস।
Leave a Reply