নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র মুনাফায় ধস নেমেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

লভ্যাংশ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানানোর কারণে আজ বুধবার কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না। অর্থাৎ শেয়ারের দাম যত খুশি বাড়তে বা কমতে পারবে।

ব্যাংকটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সমাপ্ত হিসাববছরে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ৬৮ পয়সা। আগের বছর মুনাফা হয় ৩ টাকা ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ ৮২ দশমিক ৭৮ শতাংশ মুনাফা কমেছে।

মুনাফার পাশাপাশি ব্যাংকটির সম্পদের পরিমাণও কমেছে। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩৬ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ছিল ৪৫ টাকা ২৪ পয়সা।

ব্যাংকটি লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। তবে বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ ও ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত করা হয়।

১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটি এ আগে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ, ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ এবং ২০১৯ সালেও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬০ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৬৮টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে দশমিক ১৯ শতাংশ আছে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ শেয়ার আছে।