1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বীমা খাতের সংস্কারে আইডিআরএ’র সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: ড. এম আসলাম আলম - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বীমা খাতের সংস্কারে আইডিআরএ’র সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: ড. এম আসলাম আলম

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বীমা খাতের সংস্কারে আইডিআরএ’র সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি মন্তব্য করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম বলেছেন, আইডিআরএ নামে আছে, কাজে নেই। কারণ, আইডিআরএ তার ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে না। কিন্তু এ খাতের উন্নয়ন করতে চাইলে আইডিআরএ’কে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে। ক্ষমতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

বুধবার (১২ মার্চ) আইডিআরএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘বীমা খাতের সংস্কার ও আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।

আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। লাইফ বীমা খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম এবং নন-লাইফ খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেনা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম।

সেমিনারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্যবৃন্দ, লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমে বীমা খাত নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।

বীমা আইনকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ আখ্যায়িত করে ড. এম আসলাম আলম বলেন, আইডিআরএ’কে দূর্বল করে বীমাকারীদের পক্ষে এই আইন করা হয়েছে। আইডিআরএ কাউকে সাসপেন্ড করলে তারা আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার নিয়ে পুনরায় ফিরে আসে। তাই ব্যাপকভাবে আইডিআরএ’র ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, যেকোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে তথ্যের প্রয়োজন। কিন্তু বীমা কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে চায় না। যেসব তথ্য দেয় তা ফেব্রিকেটেড (জাল-জালিয়াতি) কিনা তাও নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন হলে ৮৫ শতাংশ অনিয়ম-দূর্নীতি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পদক্ষেপ নেই কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায় না।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, আইএমএস যেটা ইউএমপি নামে পরিচিত ছিল সেটা ১০টি সার্ভিস দিচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো মনিটরিং করতে এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইএমএস-এ পূর্ণ তথ্য দিলে আইডিআরএ কাজ করতে পারবে। কিন্তু বিআইএ’র নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে তারা এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে না।

ড. এম আসলাম আলম বলেন, ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও যদি যথাসংখ্যক জনবল থাকতো তাহলেও হতো। কিন্তু আইডিআরএকে স্বল্প সংখ্যক জনবল ও স্বল্প টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে বীমা খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়েই কাজ চলছে। এজন্য সময় লাগবে, রাতারাতি সম্ভব নয়।

গ্রাহকদের বকেয়া বীমা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডারের সম্পদ বিক্রি করে দাবি পরিশোধের ক্ষমতা আইডিআরএ’র নেই। এ জন্য আদালতে যেতে হয়। এরইমধ্যে কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু মামলা চলমান আছে। তিনি আরো বলেন, অনিষ্পন্ন বীমা দাবি পরিশোধ না হলে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না। সুশাসন কায়েম হলে আস্থা বাড়বে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com