নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ২০২৫ সালের মধ্যে স্থলভাগে আরো ৫০টি কূপ খননের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যার ফলে আনুমানিক ৬৪৮ এমএমসিএফডি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে। এর বাইরেও দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তির আওতায় এলএনজি আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হবে যা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কার্যকর হবে।
শিল্প খাতে যেখানে গ্যাসের চাহিদা ৬৪৮ এমএমসিএফডি সেখানে মাত্র গ্যাস বরাদ্দ হয় ৫৭৭ এমএমসিএফডি। গ্যাস সরবরাহ হয় মাত্র ৫৪২ এমএমসিএফডি যার প্রকৃত ব্যবহার হয় ৫০৮ এমএমসিএফডি। এই বড় ধরণের গ্যাপের কারণে সঠিক উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখা যাচ্ছে না। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। লোকসান গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়িদের। অনেকে আবার ব্যবসা গুটিয়ে পেলতে হয়েছে।
তবে সরকারের সিদ্ধান অনুযায়ী, মে-আগস্ট মাসে বিদ্যুতের বরাদ্দ ১২০০ থেকে ১০৫০ এমএমসিএফডি হ্রাস করা হবে এবং শিল্পখাতে সেই ১৫০ এমএমসিএফডি গ্যাস বরাদ্দ করা হবে।
জানা যায়, গ্যাস সংকটের কারণ হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কম। ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে এলএনজি’র দাম বৃদ্ধি। বর্তমানে প্রাইস গ্যাপ ৭.০৮ টাকা/ঘনমিটার।
এছাড়াও জানা যায়, ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি কূপ খননে উন্নতি বা পরিকল্পনা রয়েছে। এর বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে আনুমানিক ৯৮৫ এমএমসিএফডি গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে
Leave a Reply