1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
১৮৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সোনালী লাইফের ৮ পরিচালক-কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

১৮৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সোনালী লাইফের ৮ পরিচালক-কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার স্ত্রী ফজলুতুননেসাসহ ৮ পরিচালক-কর্মকর্তার ১৪১ ব্যাংক হিসাব ও ১১টি বিও নাম্বারের শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন।

ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, তাসনিয়া কামরুন অনিকা, ছেলে মোস্তফা কামরুল সোবহান ও তার স্ত্রী শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, পরিচালক নূর-ই হাফজা, সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদ বিন আমান।

দুদকের সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দুদকের আবেদনে বলা হয়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাসহ একই পরিবার ৭টি পদ গ্রহণ করে। পরে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জাল চুক্তিনামা, বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের তহবিল থেকে ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬ টাকা উত্তোলন করে।

এসব অর্থ তাদের নামের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। যা মানিলন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তদন্তকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, আসামিরা মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামের অস্থাবর সম্পদগুলো অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন।

আসামিরা মালিকানাধীন এবং তাদের অর্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বা শেয়ার অবরুদ্ধ করা না হলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের মালিকানাধীন এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাব ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের হিসাব বা শেয়ার (বিও আইডি) অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন। পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন সোনালী লাইফের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com