1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
জাহিন স্পিনিংয়ের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

জাহিন স্পিনিংয়ের ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও ব্যবসায় ডুবতে থাকা জাহিন স্পিনিংয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরী হয়েছে। কোম্পানিটির অর্থ সংকট রয়েছে ও স্বাভাবিক উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। এরইমধ্যে বড় পুঞ্জীভূত লোকসান হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কোম্পানিটির ভবিষ্যতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছে, জাহিন স্পিনিং চলতি মূলধনের ঘাটতিতে রয়েছে। এছাড়া ঋণ ও ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অক্ষমতা রয়েছে। এমনকি কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম ঠিকভাবে হচ্ছে না।

কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্রোস প্রফিট কমেছে ২ শতাংশ। এতে করে কোম্পানিটির আগের অর্থবছরের ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকার নিট মুনাফা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নেমেছে ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা লোকসানে। যাতে কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসান বেড়ে হয়েছে ৮৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ অবস্থায় কোম্পানিটির ব্যবসায় ফেরা বা টিকিয়ে রাখার সক্ষমতা নিয়ে শঙ্কা তৈরী করেছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

জাহিন স্পিনিংয়ের আর্থিক হিসাবে গত ৩০ জুন গ্রাহকদের কাছে ১৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৬ গ্রাহকের কাছে ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে পাওনা রয়েছে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যার পরিমাণ ২০২৩ সালের ৩০ জুন ছিল ৩৬ কোটি ৫ লাখ টাকা। যার বিপরীতে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকা সঞ্চিতি গঠন করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই না থাকায় হিসাব থেকে বাদ (রিটেন অফ) দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার সঞ্চিতি হিসাবে রাখা হয়েছে।

এদিকে ওই ১৬ গ্রাহকের সঙ্গে ১০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা পাওনার বিষয়ে কোনভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি নিরীক্ষক। ওই গ্রাহকদের থেকে অর্থ আদায় নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নিরীক্ষক।

কোম্পানিটির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে ৫৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি দেখানো হয়েছে। যে বছরে পণ্য বিক্রিবাবদ গ্রাহকদের থেকে ৫৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা আদায় বা পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্যাংক স্টেটমেন্টে শুধুমাত্র ১৪ কোটি ৫ লাখ টাকা সংগ্রহ পেয়েছে নিরীক্ষক। বাকি ৩৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা নগদে আদায় ও ঢাকা এন্টারপ্রাইজের থেকে ক্রয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে বলে আর্থিক হিসাবে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নিরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণাদি পাননি বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া জাহিন স্পিনিংয়ের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ব্যতিত) বিনিয়োগকারীদের মালিকানা ৬৮.৯০ শতাংশ। কোম্পানিটির সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৬.৮০ টাকায়।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com