নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) জরিমানা ছাড়া কোন উন্নতি নাই। সত্যিকার অর্থে বিএসইসিতে কোন কাজ হচ্ছে না বলে জানান ডিবিএ’র নেতারা।
তারা বলেন, কাজ বিএসইসির, কিন্তু বিএসইসি তাদের কাজ মন্ত্রণালয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারকে ৫০ বছর পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই বিএসইসিতে গত ৮ মাসে কোন আইপিও পেন্ডিং নাই। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ঘটনা নাই। এই বাজারে পণ্য সরবরাহ খুবই বাজে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এক আলোচনায় এসব কথা বলেন।
বিএসইসির টাস্কফোর্স নিয়ে ডিবিএ নেতারা বলেন, যাদেরকে নিয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, তারা বাস্তবে প্রকৃত অর্থে অভিজ্ঞতাহীন। এরা আবার করেছে ফোকাস গ্রুপ। যারা ব্রোকার কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই মতামত দিয়েছে। অথচ তাদের যোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ।
তারা জানান, স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের ব্র্যান্ড। তারা চাইলে এ বাজার থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পারত। কিন্তু তারা সেই কাজ করেনি। তারাও শেয়ারবাজারে তাদের আর কোন কোম্পানিকে আনবে না বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছে। কিন্তু কেনো তারা আনতে চায় না, সমস্যা কোথায়, এসব নিয়ে স্কয়ারের সঙ্গে ফোকাস গ্রুপের কথা বলা দরকার ছিল। তাহলে বাস্তব সমস্যা বেরিয়ে আসত। কিন্তু তা করেনি।
শেয়ারবাজারে অগ্রিম আয়করকে (এআইটি) অন্যতম সমস্যা বলে উল্লেখ করেন ডিবিএ নেতারা। তারা বলেন, আমাদের ১ লাখ টাকার লেনদেনের উপর ৫০ টাকা অগ্রিম আয়কর দিতে হয়। ভারতে বছরে এ কর ১০ টাকা, পাকিস্তানে ৬৫ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ৭ টাকা। আমরি এই কর বেশি দেওয়ার পরেও সেটা সমন্বয় করা যায় না এবং চূড়ান্ত আয়কর। যে কারনে প্রতিবছর লোকসান সত্ত্বেও আয়কর দিয়ে যাচ্ছে ব্রোকাররা।
তারা বলেন, সমন্বয়হীন আয়কর দুনিয়ার কোথাও নাই। মুনাফা করলে সরকার আয়কর পাওয়ার অধিকারী। আবার লোকসান করলে আয়কর না দেওয়া ব্যবসায়ীর অধিকার। কিন্তু ১৫ বছর ধরে লোকসান করেও আয়কর দিয়ে আসছে ব্রোকাররা। এটা জুলুম। এ কারনেই মানুষ রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হয়।
সাংবাদিকরা বলেন, আগের কমিশন শেয়ারবাজারকে ধংস করেছে। আর বর্তমান কমিশন বিএসইসিকেই শেষ করে দিয়েছে।
Leave a Reply