1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বিএসইসির নতুন চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ

  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছ।একইসঙ্গে ড. এম মাসরুর রিয়াজকে নিয়োগ দেওয়ার সেই প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হয়েছে।

রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে এখন কথা বলতে পারব না। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব, ইনশাল্লাহ্‌।’

এর আগে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও ছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেডের এমডি এবং সাত বছর সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের এমডি ও সিটি কান্ট্রি অফিসার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন ১৯৯২ সালে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মু. মোহসীন চৌধুরী বলেন, ‘আমি অফিসিয়ালি বা আনঅফিসিয়ালি এখনো কিছুই জানি না।’

এর আগে, গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ১১ আগস্ট এফআইডি সচিব মো. আবদুর রহমান খানের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ১২ আগস্ট তাঁর পদত্যাগ গ্রহণ করা হয়। তবে আগের দিন রোববারই কমিশনার মু. মোহসীন চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর ১৩ আগস্ট ড. এম মাসরুর রিয়াজকে চার বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
যদিও এম মাসরুর রিয়াজকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরপরই দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

এ নিয়ে বিএসইসির অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় অভিযোগ তোলা হয়, মাসরুর রিয়াজ সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত এবং পুঁজিবাজারে বিতর্কিত সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁদের অনেক অনৈতিক নীতির সমর্থক ছিলেন মাসরুর। এ ছাড়া সামষ্টিক অর্থনীতি সম্পর্কে তিনি বিজ্ঞ হলেও পুঁজিবাজারে দক্ষতা নেই। এমন একজনকে বিএসইসির কর্মকর্তারা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বাগত জানাতে চান না।

পরে সভার সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে এফআইডি সচিবকে পাঠানো হয়। এরপর বুধবার এফআইডির ওয়েবসাইট থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন সরিয়ে নেওয়া হয়। আর অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এসব ঘটনার মধ্যেই বিএসইসির কর্মকর্তাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়। একটি পক্ষ দাবি করে, মাসরুর রিয়াজের নিয়োগ প্রত্যাহার চেয়ে দেওয়া চিঠির বক্তব্য অ্যাসোসিয়েশনের নয়, বরং সভাপতি ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানের ব্যক্তিগত। তবে এক দিন পর বৃহস্পতিবার সাইফুর রহমানের দেওয়া চিঠি ও প্রস্তাবের প্রতি ফের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ আলোচিত হচ্ছিল। এ বাস্তবতায় নিয়োগ পাওয়ার পরও চেয়ারম্যান হিসেবে বিএসইসিতে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন ড. মাসরুর রিয়াজ। কিন্তু তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠায় শেষ পর্যন্ত তিনি ওই পদে যোগ না দেওয়ারই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।

এদিকে ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, ‘সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার আমাকে বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এই পরিবর্তিত সময়ে আমি মনে করি, বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সামগ্রিক অর্থনীতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আর্থিক খাত-সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে অর্থনীতির কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা পালনের সুযোগ আছে। এসব বিবেচনায় আমি বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে তাঁকে বিবেচনায় আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। দাবি করেন, দায়িত্ব পালনের চেয়ে দেশের স্বার্থই আমার কাছে সবার ওপরে। প্রতিশ্রুতি দেন দায়িত্বে না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে নিজ অবস্থান থেকে করণীয় সবকিছুই করে যাবেন।

মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নামে অর্থ মন্ত্রণালয়। এফআইডি থেকে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানা যায়। তারপরই খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেল।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com