1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বিএসইসির চেয়ারম্যান অযোগ্য আখ্যা দিয়ে অপসারণের দাবিতে অনড় বিনিয়োগকারীরা - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বিএসইসির চেয়ারম্যান অযোগ্য আখ্যা দিয়ে অপসারণের দাবিতে অনড় বিনিয়োগকারীরা

  • সর্বশেষ আপডেট : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনকে অযোগ্য আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়ে অনড় অবস্থান নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। আগামীকাল রোববার (১১ মে) অনুষ্ঠিতব্য ‘পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক বৈঠকেও এ দাবির পক্ষে তারা সোচ্চার থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।

শনিবার (১০ মে) রাজধানীর পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) নেতারা এই দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠাটির পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ন মুখ্য সমন্বয়ক মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

বিসিএমআইএ সভাপাতি বলেন, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ’ এর লক্ষ্যে রোববার (১১ মে) অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ও বিএসইসির চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে শেয়ারবাজার বুঝে এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে এমন কাউকে রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, যেখানে স্টক এক্সচেঞ্জ, মার্চেন্ট ব্যাংকার, ব্রোকার, সম্পদ ব্যবস্থাপক, বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিসহ এসব স্টেকহোল্ডারদের কেউ থাকবে না। অথচ এরাই শেয়ারবাজারের বিদ্যমান সমস্যার কারণ বুঝে। বিপরীতে যাদের নিয়ে অভিযোগ, তাদেরকেই রাখা হয়েছে বৈঠকে। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা তাদের ব্যর্থতা তুলে ধরবেন না প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের শেয়ারবাজার অব্যাহত পতন। এর কারণ মাকসুদ কমিশনের অযোগ্যতা। তাই এই কমিশন অপসারণ করতে হবে। একজন দক্ষ, যোগ্য ও পুঁজিবাজার বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি-কে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।

বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর শেয়ারবাজারের একটি চিত্র তুলে ধরেন বিনিয়োগকারীদের এই নেতা। তিনি বলেন, বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান যোগ দেওয়ার পর মার্কেট ক্যাপিটেল হারিয়েছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। মার্কেট সূচক হারিয়েছে প্রায় ১ হাজার ১০০ পয়েন্ট। ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত জরিপে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের প্রতি অনাস্থা দাঁড়িয়েছে ৯৫ শতাংশের বেশি। ৯৫ শতাংশ বিনিয়োগকারী তার অপসারণ চাচ্ছেন। মার্কেট আরএসআই ১১ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বনিম্ন এবং বিশ্ব রেকর্ডও বটে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার ক্লিনিক্যালি ডেড হয়ে গেছে।

এই বিনিয়োগকারী নেতা বলেন, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবাই এরইমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পুঁজিবাজার নিয়ে কোন ধারণা নেই বাস্তব অভিজ্ঞতাও নেই। এমনকি পুঁজিবাজারের উন্নতি ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের কোন সদিচ্ছা নেই। একটি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বের যোগ্যতা ও গুণাবলি থাকা প্রয়োজন যার কিছুই নেই তার মধ্যে।

তিনি বলেন, কমিশনের ওপরে আস্থার সংকটের কারণে গত ৮ মাসেও মৌলভিত্তিক কোন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার জন্য কোন আগ্রহ দেখায়নি। এতে শেয়ারবাজার নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। বিধিতে না থাকা সত্বেও নিজেদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ, যার মধ্যে আপ্যায়ন বাবদ প্রতিমাসে চেয়ারম্যান ৩ হাজার টাকা এবং প্রত্যেক কমিশনারের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবে চেয়ারম্যান প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা এবং কমিশনাররা ১৫ হাজার টাকা করে উত্তোলন করেছেন এবংসরকারি নিয়ম অনুযায়ী কমিটির সদস্যদের প্রতি সভার সম্মানিত ভাতা বাবদ, ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা প্রধানের উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে তারা প্রতি মাসে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেখে বহিঃসদস্যদের প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা প্রদান করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণরূপে পুঁজিবাজার স্বার্থ বিরোধী এবং বেআইনি।

তিনি আরও বলেন, বিধির বিভিন্ন শর্ত ও যোগ্যতা শিথিল করে নিজের পছন্দ মত বিভিন্ন তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। সিকিউরিটিজ আইন বহির্ভূতভাবে বিনিয়োগকারীদের সিসিএ অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ প্রদান থেকে বিনিয়োগকারীদেরকে বঞ্চিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের পরিপন্থি।

এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, বর্তমান কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনাররা পুঁজিবাজারে অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বহু সংখ্যক কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছেন। যার মাধ্যমে লক্ষাধিক বিনিয়োগকারীদেরকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে অপসারণ অনিবার্য এবং অতি জরুরি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com