নিজস্ব প্রতিবেদক: নারীদের জন্মনিয়ন্ত্রণে নতুন প্রযুক্তি হিসেবে একক রড (সিঙ্গেল রড) ইমপ্ল্যান্ট উৎপাদন শুরু করেছে টেকনো ড্রাগস লিমিটেড। ডাবল রড ইমপ্ল্যান্টের বিকল্প হিসেবে এই নতুন প্রযুক্তির উৎপাদন শুরুর মাধ্যমে ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি।
সিঙ্গেল রড ইমপ্ল্যান্ট উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত ‘ইটিও প্ল্যান্ট’ আজ মঙ্গলবার থেকে পরিচালনা শুরু হয়েছে কোম্পানিটির কারখানায়। এই প্রযুক্তি নিরাপদ, কার্যকর এবং দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ সমাধান দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, টেকনো ড্রাগস ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে কন্ট্রাসেপটিভ (গর্ভনিরোধক) ইমপ্ল্যান্ট উৎপাদন করে আসছে। নিজস্ব কন্ট্রাসেপটিভ ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি দেশীয়ভাবে একমাত্র এবং বিশ্বব্যাপী মাত্র পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, ‘২০১৯ সালে ইমপ্ল্যান্ট কারখানা চালুর পর থেকেই তারা গবেষণা শুরু করেছে। কোম্পানির পরিচালক ও খ্যাতিমান ফার্মাসিস্ট শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একক রড ইমপ্ল্যান্ট উন্নয়নে ধারাবাহিক গবেষণা চালানো হয়। তারই সুফল হিসেবে আজ টেকনো ড্রাগস দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র এবং বিশ্বের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিঙ্গেল রড ইমপ্ল্যান্ট উৎপাদন সুবিধা পরিচালনা শুরু করছে।’
এই অর্জন বৈশ্বিক প্রজননস্বাস্থ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে বলে মনে করছে কোম্পানিটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, ‘এটি আমদানিনির্ভরতা কমিয়েছে এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে মানসম্মত কন্ট্রাসেপটিভের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত করেছে।’
এ বিষয়ে টেকনো ড্রাগসের নির্বাহী পরিচালক আরেফিন রাফি আহমেদ বলেন, ‘এটি শুধু টেকনো ড্রাগসের জন্য নয়, পুরো দেশের জন্যই একটি বড় মাইলফলক। দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম এবং বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গেল রড ইমপ্ল্যান্ট কারখানা ‘ইটিও প্ল্যান্ট’ চালুর মাধ্যমে আমরা জন্মনিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্যসেবায় সহজলভ্যতা, সাশ্রয় এবং উদ্ভাবনকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছি।’
প্রসঙ্গত, টেকনো ড্রাগস ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে অনকোলজি থেকে শুরু করে হরমোনাল ওষুধ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে উদ্ভাবন চালিয়ে আসছে। গত ১৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি একটি অত্যাধুনিক অনকোলজি উৎপাদন কারখানা সফলভাবে পরিচালনা করছে।
এমএমএইচ/
Leave a Reply