1. baiozidkhan@gmail.com : admin_bizp :
বিএসইসির তদন্তেও প্রতারণার আশ্রয় নেয় লুব-রেফ বাংলাদেশ - Business Protidin
শিরোনাম :
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত দেশে সরকারি ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের’ কার্যক্রম শুরু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ‘ক্ষুদ্র ঋণ ব্যাংক’ গঠনের উদ্যাগ সরকারের পঞ্চমবারের মতো সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন সোনালী লাইফের বেতন কমছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কর্মীদের ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডি হতে লাগবে ২৫ বছরের অভিজ্ঞতা লাভেলো আইসক্রিমের এমডির পরিবারসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠান টিকে থাকা ও সফলতার মৌলিক ভিত্তি: আমির খসরু দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে দেশের ৬ কোটি ২০ লাখ মানুষ: বিশ্বব্যাংক ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে কঠোর নির্দেশনা জারি

বিএসইসির তদন্তেও প্রতারণার আশ্রয় নেয় লুব-রেফ বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নেয় বিএনও ব্র্যান্ডের লুব-রেফ বাংলাদেশ। যা কোম্পানিটির কাছে কমিশনের স্থায়ী সম্পদের অবচয়ের বিস্তারিত চাওয়ার মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। তারা আর্থিক হিসাবে যেভাবে অবচয় চার্জ করেছে, তার সঙ্গে কমিশনকে ব্যাখ্যা দেওয়ার তথ্যের মিল নেই। যে কোম্পানিটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আপত্তি ছিল বিএসইসির ওইসময়ের ক্যাপিটাল রেইজিং বিভাগের কর্মকর্তাদের।

অথচ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ২সিসি এর অধীনে ১১ নং শর্তে বলা হয়েছে, আইপিওতে যেকোন ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রদান আইপিও বাতিল হওয়ার জন্য দায়বদ্ধ থাকবে। এছাড়া আবেদনের ২৫% অর্থ বা শেয়ার ক্ষতিপূরন দেবে। যা বিএসইসির হিসাবে জমা করা হবে। এছাড়াও আইন দ্ধারা অন্যান্য শাস্তি প্রদান করা হতে পারে।

লুব-রেফ বাংলাদেশ আর্থিক হিসাবে অবচয় এবং একই বিষয়ে কমিশনকে কোয়ারির আলোকে ভিন্ন তথ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ার ৩০ টাকা করে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন হয়। সেই কোম্পানির শেয়ার দর এখন ১৯.৮০ টাকা।

এমন প্রিমিয়াম নেওয়া লুব-রেফের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৯ মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে মাত্র ০.২৮ টাকা। যে কোম্পানিটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যবসায় ২% লভ্যাংশ দিয়েছিল। এই নামমাত্র লভ্যাংশও ঠিকমতো শেয়ারহোল্ডারদের দিতে পারেনি। এ কারনে কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ না পেয়ে অনেক শেয়ারহোল্ডার বিএসইসিতে অভিযোগও করেন।

কোম্পানিটির ভবিষ্যত যে এমন হবে, সেটা আইপিও দেওয়ার আগেই বিএসইসি কর্তাদের বুঝিয়েছিল ওইসময় ক্যাপিটাল রেইজিং বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা কোম্পানিটির আইপিওর বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তবে দীর্ঘ দেনদরবারের মধ্য দিয়ে কোম্পানিটি বিপুল অর্থ তুলে নেয়। অথচ লুব-রেফ বাংলাদেশ প্রিমিয়াম পাওয়ার যোগ্য ছিল না।

বিএসইসির পক্ষ থেকে লুব-রেফের অবচয় গণনার তথ্য চাওয়ার প্রেক্ষিতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ প্রতারণার আশ্রয় নেয়। বিএসইসির অবচয়ের কোয়ারির আলোকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কেনা স্থায়ী সম্পদের উপরে ব্যবহার উপযোগি হওয়ার দিন থেকে অবচয় চার্জ করেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা করা হয়নি। তারা ওই অর্থবছরে কেনা (ক্যাপিটাল ওয়ার্ক ইন প্রসেস থেকে স্থানান্তরসহ) ৫৫ কোটি ১২ লাখ ৩১ হাজার ৭৫০ টাকার স্থায়ী সম্পদের উপরে ১ টাকারও অবচয় চার্জ করেনি।

লুব-রেফ কর্তৃপক্ষ বিএসইসির কোয়ারিতে জানায়, তারা ওই অর্থবছরে কেনা স্থায়ী সম্পদের মধ্যে প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারীজের উপর ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৭ টাকা, ভেহিক্যালের উপর ১৩৯ টাকা ও ফ্যাক্টরী ইক্যুপমেন্টের উপরে ৮ হাজার ৪৮৬ টাকার অবচয় চার্জ করেছে। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে কেনা স্থায়ী সম্পদগুলোর উপরে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮২ টাকার অবচয় চার্জ করা হয়েছে।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কেনা ভেহিক্যাল, প্লান্ট অ্যান্ড মেশিনারীজ ও ফ্যাক্টরী ইক্যুপমেন্টের উপরে অবচয় চার্জ করা হয়নি। যাতে কোম্পানিটির আর্থিক হিসাবে অবচয়বাবদ ব্যয় দেখানো হয়নি।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, শেয়ারবাজার থেকে টাকা তোলার জন্য আর্থিক হিসাবে মিথ্যা তথ্য প্রদানের কথা শোনা যায়। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোন তথ্য চাওয়ার পরে, সে বিষয়ে আর্থিক হিসাবের সঙ্গে ভিন্ন তথ্য দেওয়ার ঘটনা লুব-রেফের আগে ঘটেছে কিনা, তা জানা নেই। তাই কোম্পানির প্রকৃত অবস্থা খতিয়ে দেখতে পারে কমিশন। একইসঙ্গে তারা আরও কোন অনিয়ম করেছে কিনা, তাও যাচাই করে দেখা যেতে পারে।

দেখা গেছে, ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে (রিডিউসিং) অবচয় চার্জ করা লুব-রেফে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের শুরুতে ৩০৫৭১২০১ টাকার ভেহিক্যাল ও ওই সম্পদের উপরে ২৩৬২১৬৪৫ টাকার পূঞ্জীভূত অবচয় ছিল। এখন এই সম্পদের উপরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অবচয় হয় (৩০৫৭১২০১-২৩৬২১৬৪৫*২০%)= ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ৯১১ টাকা। আর এই পরিমাণ অবচয়ই চার্জ করেছে লুব-রেফ কর্তৃপক্ষ। অথচ তারা ওই অর্থবছরের মাঝে কেনা ১৬৯২০০ টাকার ভেহিক্যালের উপরেও অবচয় চার্জ করেছে বলে উল্লেখ করেছে।

একইভাবে প্লান্ট অ্যা্ন্ড মেশিনারীজ ও ফ্যাক্টরী ইক্যুপমেন্টের উপরে শুধুমাত্র বছরের শুরুর সম্পদে অবচয় চার্জ করা হয়েছে। ওই বছরে কেনা এ জাতীয় সম্পদে অবচয় চার্জ করা হয়নি। তারপরেও বিএসইসি বিস্তারিত চাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন কেনা সম্পদেও চার্জ করেছে বলে উল্লেখ করেছে।

এ বিষয়ে জানতে লুব-রেফের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মফিজুর রহমানের যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের সোশ্যাল মিডিয়া আইকনে ক্লিক করুন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2025 Businessprotidin.com
Site Customized By NewsTech.Com