নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামীক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ২০২৩ সালের ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছে। প্রদত্ত ঋণের একটা বড় অংশ ক্লাসিফাইড হয়ে গেছে। যাতে কোম্পানিটিকে বড় সঞ্চিতি (প্রভিশন) গঠনের দরকার পড়েছে। তবে সেটার পরিমাণ এতোই বেশি যে, যা ৫ বছর লাগবে সমন্বয় করতে। যে ধাক্কায় এরইমধ্যে ২০২৩ সালের ব্যবসায় কোম্পানিটি লোকসানে হয়েছে।
পুঁজিবাজারে ২৩টি লিজিং কোম্পানি রয়েছে। এরমধ্যে হাতে গোণা ২-৪টি কোম্পানি ব্যবসায় মুনাফা ও লভ্যাংশ দিয়ে আসছিল। যার মধ্যে ১টি ছিল ইসলামীক ফাইন্যান্স। কিন্তু এ কোম্পানিটিও এখন ঋণ খেলাপিতে বাঁজে লিজিং কোম্পানির তালিকায় যাওয়ার প্রক্রিয়ায়।
নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির বিনিয়োগের বা প্রদত্ত ঋণ ও লীজের বিপরীতে সঞ্চিতি ঘাটতি ১৫৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা। যা সমন্বয়ের জন্য সময় চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করে। যার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক তা মঞ্জুর করেছে এবং ৫ বছর সময় দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে ৩১ কোটি ৪ লাখ টাকার ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে। এখনো কোম্পানিটির ১২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার সঞ্চিতি ঘাটতি রয়েছে।
এ কোম্পানিটির ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রদত্ত ঋণ ও লীজের পরিমাণ ১ হাজার ৭৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩৬৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা ক্লাসিফাইড। এই ক্লাসিফাইডের মধ্যে আবার ২৯৭ কোটি ৬ লাখ টাকা বা ৮০.৭৮% নন পারফরমিং লোন।
ঋণের এই শোচণীয় অবস্থায় কোম্পানিটির ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১.৬৪ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া ইসলামীক ফাইন্যান্সের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৬৭.১৭ শতাংশ মালিকানা রয়েছে শেয়ারবাজারের বিভিন্ন শ্রেণীর (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) বিনিয়োগকারীদের হাতে। কোম্পানিটির বুধবার (১০ জুলাই) শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৯.৩০ টাকায়।
Leave a Reply